1.

সি ইউ কি গ্রন্থটি কার লেখা​

Answer»

িক ধর্মচর্যা ও তার প্রাচীনত্ব ইত্যাদি সম্বন্ধে নির্দিষ্ট সন তারিখ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য যদিও এখনও আমাদের হাতে নেই, তবু কিছু কিছু সাহিত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যে তান্ত্রিকতার প্রাচীনত্ব নির্দেশ করে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। সুখময় শাস্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী– ‘মেদিনী-কোষে দেখা যায়, তন্ত্র শব্দের অন্যতম অর্থ শ্রুতির শাখাবিশেষ। সাধারণতঃ তন্ত্রশব্দ শাস্ত্র-বাচক। বিশেষ অর্থে আগম-শাস্ত্র বা সাধন-শাস্ত্রকে বুঝায়। তন্ত্রশাস্ত্রের প্রাচীনতার অনুকূলে আরও একটি কথা বলিবার আছে। স্মৃতিসংহিতা এবং পুরাণাদিতে কোথাও স্পষ্টতঃ, কোথাও বা ভাবতঃ তন্ত্রশাস্ত্রের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোনও তন্ত্রগ্রন্থে স্মৃতি বা পুরাণের নাম গৃহীত হয় নাই।’- (তন্ত্রপরিচয়, পৃষ্ঠা-১৮)         বৃহৎসংহিতাকার (আনুমানিক খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক) বরাহমিহির যে অতি অল্প কথায় মাতৃকাগণের মণ্ডলক্রমানুযায়ী ধর্মানুষ্ঠানের বিষয়ে বলেছেন তা ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। তার শতাব্দীকাল পরে (সপ্তম শতকের প্রথমভাগে) ভারত পরিভ্রমণকারী চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ তাঁর সি-ইউ-কি গ্রন্থে গান্ধার পরিক্রমার বিবরণ প্রসঙ্গে লিখেছেন যে–‘প্রাচীন গান্ধার প্রদেশের (ভারত সম্বন্ধীয় বৈদেশিক লেখকগণের মতানুযায়ী এটি বর্তমান পশ্চিম পাকিস্তানের পেশোয়ার জেলার প্রাচীনকালে প্রচলিত নাম) মধ্যস্থলে ভীমাদেবী পর্বত নামে একটি বৃহৎ পর্বতশৃঙ্গ ছিল। তার উপরে মহেশ্বরের পত্নী ভীমাদেবীর গাঢ় নীলবর্ণের প্রস্তরের এক প্রতিকৃতি ছিল। স্থানীয় জনগণের মতে দেবীর প্রতিকৃতিটি অকৃত্রিম এবং তাঁর মন্দির ভারতের সকল অংশের দেবীপূজকদের পবিত্র গন্তব্য বা দ্রষ্টব্য স্থান ছিল। পর্বতের সানুদেশে মহেশ্বরদেবের এক মন্দির ছিল; এখানে ভস্মলিপ্ত তীর্থিকগণ (এরা পাশুপত সম্প্রদায়ভুক্ত বলে ধারণা করা হয়) বিশেষ পূজা করতেন।’ (সূত্র: পঞ্চোপাসনা) বিস্তারিত পড়ুন ADVERTISEMENTS



Discussion

No Comment Found

Related InterviewSolutions