| 1. |
৫) মূল্যবােধ সৃষ্টিতে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।} । |
|
Answer» সমাজ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য উপাদান হচ্ছে মূল্যবােধ। যে সকল ধারণা, বিশ্বাস, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মানুষের আচার-আচরণকে এবং কার্যাবলীকে পরােক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সে গুলােকে একত্রে মূল্যবােধ বলে। ১। ধর্মীয় অনুসাশন: সম্পদের সৃষ্ট ব্যবহার এবং আর্থিক কর্মকান্ডের হিসাব-নিকাশ প্রদানের দায়িত্ব প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় কর্তব্যের অন্তর্ভূক্ত। ২। নৈতিক চরিত্র গঠণ: হিসাবের খাতায় প্রতিটি লেনদেন সময় মত লিপিবদ্ধ করা। সঠিক ভাবে আর্থিক ফলাফল তৈরি করার মাধ্যমে মানুষকে ন্যায় ও অমূল্য চারিত্রিক গঠনে ভূমিকা রাখে। ৩। সচ্ঞয় ও মিতব্যায়িতা: হিসাববিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে হিসাব সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, যা একজন মানুষকে তার অর্জিত আয় হতে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে শেখায়। ৪। আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভর: হিসাববিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন, জমা খরচ, আয়-ব্যায় ও লাভ-লােকসান ইত্যাদি হিসাব সম্পর্কে জানতে পারা যায়। ফলে একজন মানুষ যখন আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা গ্রহন করে, তখন সে সহজে তার কর্মকান্ডকে পরিচালনা করতে পারে। ৫। দূর্ণীতি ও জালিয়াতি হ্রাস ও নিরীক্ষা: হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে দূর্ণীতি পরায়ন ব্যক্তিদের সহজে চিনতে পারা যায়। শাস্তি ও দুর্নাম ভয়ে ঐ ব্যক্তি তহবিল তছরুপ বা অপব্যয় ইত্যাদি কার্যক্রম হতে বিরত থাকে। ফলে উক্ত মানুষের মধ্যে মূল্যবােধ সৃষ্টি হয়। পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মানুষের জীবনে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরিতে হিসাববিজ্ঞান অনেক অবদান রাখে। হিসাববিজ্ঞানে জবাবদিহিতা না থাকলে প্রতিষ্ঠানে আর্থিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। |
|