| 1. |
ভারতে কোথায় ভূতাপ বিদ্যুত কেন্দ্র আছে |
|
Answer» আর একটি উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি হল ‘জিও থার্মাল’ বা ভূগর্ভস্থ তাপ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এই শক্তি নিহিত রয়েছে পৃথিবীর অভ্যন্তরে —একদম এর কেন্দ্রস্থলে, প্রায় চার হাজার মাইল গভীরে। ভূকেন্দ্রের এই তাপমাত্রা প্রায় ৯০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যখন নানা বিবর্তনের মাধ্যমে এই তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছয় তখন এই উষ্ণতা কমে আসে ৭০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। আমাদের চার পাশে যত উষ্ণ প্রস্রবণ দেখি তা এই জিও থার্মাল শক্তিরই রূপান্তর। ২০১০ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় আমেরিকার ৭৭টি এই ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের মাধ্যমে ৩০৮৬ মোগাওয়াট জিও থার্মাল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প স্থাপিত হয়েছে। যদিও বিশ্ব জুড়ে এর ভাণ্ডার রয়েছে ২৪টি দেশে এবং যার পরিমাণ প্রায় ১০,৭১৫ মেগাওয়াট। এই ভাবে উৎপন্ন বিদ্যুৎ চলতি বাজারের থেকে কম দামে পাওয়া যায়, নির্ভরয়োগ্য এবং পরিবেশবন্ধু এই শক্তি বহু দিন পাওয়া যাবে। যদিও ভূস্তরের গঠন অনুযায়ী এই শক্তির পরিমাণ ও অবস্থান নির্দিষ্ট করে তবে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন নতুন জায়গাতেও এই শক্তির সন্ধান মিলেছে। এনার্জি সিকিউরিটি বা শক্তির নিরাপত্তা নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। বর্তমানে আমাদের দেশে এই প্রকল্প সার্থক করার জন্য নিম্নলিখিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- ১) ২০৩১-৩২ সাল অবধি আর্থিক প্রগতি যদি ৮ থেকে ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সেই অনুপাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। ২) সামাজিক উন্নতি এবং দেশের সমস্ত মানুষের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বজায় রাখতে প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। ৩) এই উদ্যোগ দীর্ঘদিন বজায় রাখা। যদি সফল হওয়া যায় তবে আমাদের দেশ অচিরেই হয়ে উঠবে উন্নত ভারত, প্রগতির ভারত। এই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার আগে আমরা এমন কিছু করে যাব, যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল লাভ করতে পারে। Explanation: HOPE it's helpful make me brainlliest answer |
|