1.

'আনারস', 'আলপিন', 'আলকাতরা' এই শব্দগুলি উৎসগতভাবে কোন্ ধরনের শব্দ ?1. বিদেশী শব্দ2. দেশী শব্দ3. তদ্ভব শব্দ4. তৎসম শব্দ

Answer» Correct Answer - Option 1 : বিদেশী শব্দ

'আনারস', 'আলপিন', 'আলকাতরা' এই শব্দগুলি উৎসগতভাবে বিদেশী শব্দ।

  • বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা অন্য ভাষাভাষীর মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের ভাষা থেকে যে সব শব্দ গ্রহণ করেছে, বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে অন্য ভাষার শব্দ গৃহীত হয়েছে, সেগুলিকে বলা হয় বিদেশী শব্দ। যে কোনো ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনারস, আলপিন, আলমারি, আলকাতরা, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি হ'ল পর্তুগিজ শব্দ 
  • যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। উদাহরণ: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
  • অর্থাৎ, যেসব শব্দের মূল পাওয়া গিয়েছে সংস্কৃততে এবং সংস্কৃত থেকে প্রাকৃততে এবং প্রাকৃত থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলে। তদ্ভব শব্দের অপর নাম খাঁটি বাংলা শব্দ। বাংলা ভাষার উদ্ভব মাগধী প্রাকৃত থেকে। সংস্কৃত শব্দগুলি পূর্বভারতে প্রথমে মাগধী প্রাকৃতের রূপ লাভ করে এবং পরে তা বাংলায় রূপান্তরিত হয়। যেমন: চাঁদ<চান্দ চন্দ < চন্দ্র, দই < দহি < দধি, বৌ < বউ < বহু < বধূ, ইত্যাদি।
  • এদেশে আর্যরা আগমনের পূর্বে কোল, মুন্ডা, সাঁওতাল ইত্যাদি অর্নায জাতির বসবাস ছিল। আর্যদের প্রভাবে তারা প্রভাবান্বিত হলেও কিছু শব্দ তারা আর্যদের উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলা ভাষায় শতকরা দুইটি শব্দ এ উৎস থেকে গৃহীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। দেশী শব্দের মধ্যে কিছু অর্নায শব্দ এবং কিছু অজ্ঞাত শব্দও রয়েছে যার মূল জানা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়েনি। বাংলার পূর্ববর্তী প্রাকৃত ভাষায় এগুলো প্রবেশ করে এবং পরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে। যেমন- ঢেঁকি, ঢোল, কাঁটা, খোঁপা, ডিঙি, কুলা, টোপর, খোকা, খুকি


Discussion

No Comment Found

Related InterviewSolutions