Explore topic-wise InterviewSolutions in .

This section includes InterviewSolutions, each offering curated multiple-choice questions to sharpen your knowledge and support exam preparation. Choose a topic below to get started.

1.

"অন্য ভাষার সঙ্গে সংস্রবের কারণেও ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে ।" উক্তিটি1. সঠিক 2. আংশিক সঠিক3. সঠিক নয়4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : সঠিক 

"অন্য ভাষার সঙ্গে সংস্রবের কারণেও ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে ।" উক্তিটি সঠিক । 

বিভিন্ন ভাষার বা একই ভাষার বিভিন্ন শব্দ ও শব্দাংশ (প্রত্যয়, উপসর্গ) মিলে নতুন শব্দ তৈরি হলে তাকে সংকর বা মিশ্র শব্দ বলে । উদাহরণ – ইংরেজি ‘মাস্টার’ শব্দের সঙ্গে বাংলা ‘ঈ’ প্রত্যয় যুক্ত করা হয়ে সৃষ্টি হয়েছে ‘মাস্টারী’ । আবার পর্তুগিজ ‘পাউ’ শব্দের সঙ্গে হিন্দি ‘রোটি’ শব্দ যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে ‘পাউরুটি’ ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য :
i) মিশ্র শব্দ হল ধ্বনি পরিবর্তনের একটি পক্রিয়া।
(ii) দুটি শব্দের সঙ্গে মিশ্রণ বা একটি শব্দের সঙ্গে একটি প্রত্যয়ের যোগ সাধিত হয় ।
2.

'গুরু পুচ্ছিঅ জান' এই বাক্যাংশে 'গুরু' কোন্ কারকে, কোন্ বিভক্তি প্রকাশ করে ?1. কর্তৃ কারকে শূন্য বিভক্তি2. করণ কারকে শূন্য বিভক্তি3. কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি4. অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি

Answer» Correct Answer - Option 3 : কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি

'গুরু পুচ্ছিঅ জান' এই বাক্যাংশে 'গুরু' কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি।

  • ''গুরু পুচ্ছিঅ জান' এই বাক্যাংশের অর্থ হল ''গুরুকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও''।
    • যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে সেই কর্মের সঙ্গে ক্রিয়ার অন্বয়কেই কর্মকারক বলে। এই ক্ষেত্রে 'গুরু; শূন্য বিভক্তি। সাধারণত দুই প্রকার কর্ম কারক থাকে, মুখ্য ও গৌণ। 'কি' প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য কর্ম এবং 'কাকে' প্রশ্নের উত্তরে গৌণ কর্ম পাওয়া যায়। উল্লিখিত বাক্যাংশটি চর্যাপদের শ্লোক এবং প্রাচীন বাংলার নিদর্শন। 

 

  • কর্তা যে পদের সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, ক্রিয়াপদের সঙ্গে তার সম্পর্ককে বলে করণ কারক।
    যেমন - ফুটবল খেলেই দিন কাটালে (করণ কারকে শূন্য বিভক্তি)

  • বাক্যের মধ্যে যা থেকে কোন কিছুর পতন, স্খলন, নিঃসরণ, উৎপাদন, অপসারণ, গ্রহণ, ভীতি, বিচ্ছিন্ন, বা বিশ্লিষ্ট হওয়াকে বোঝায়, ক্রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের নাম অপাদান কারক।
    যেমন - বন থেকে বেরোলো টিয়ে।

  • কর্তার কারকই হল কর্তৃ কারক। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' প্রশ্নের উত্তর কে কর্তৃকারক বলা হয়। যেমন- রাজা জয় করেন।

3.

স্তম্ভ > থাম - কোন্ ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত ?1. ঘোষীভবন2. অল্পপ্রাণীভবন3. মহাপ্রাণীভবন4. কন্ঠ্যনালীয়ভবন

Answer» Correct Answer - Option 3 : মহাপ্রাণীভবন

স্তম্ভ > থাম - মহাপ্রাণীভবন প্রকারের ধ্বনি পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত।

  • সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় অর্থাৎ উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস জোরে বের হয়, সেগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ, , ধ, ফ, ভ- এগুলি মহাপ্রাণ ধ্বনি।
  • যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ, ট, ড, , দ, প, ব- এগুলি অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
  • সন্নিকটস্থ বা সংযুক্ত কোনো মহাপ্রাণ ধ্বনির প্রভাবে কোনো অল্পপ্রাণ ধ্বনি মহাপ্রাণ উচ্চারিত হয় তবে সেই প্রক্রিয়াকে মহাপ্রাণীভবন বলে ।
  • ঘোষীভবন: কোনো স্বঘোষধ্বনির প্রভাবে অঘোষধ্বনি যদি স্বঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয় তবে তাকে ঘোষীভবন বলে। যেমন- চাকদহ > চাগ্‌দা - এখানে ঘোষধ্বনি ‘দ’-এর প্রভাবে অঘোষধ্বনি ‘ক’ পরিবর্তিত হয়ে ঘোষধ্বনি ‘গ’-এ পরিণত হয়েছে।
  • অল্পপ্রাণীভবন: ধ্বনি যদি অল্পপ্রাণ উচ্চারিত হয় তবে তাকে অল্পপ্রাণীভবন বলে। যেমন- দুধ > দুদ, বাঘ > বাগ, ভাই > বাই, ভাত > বাত ইত্যাদি।
  • কন্ঠ্যনালীয়ভবন: কন্ঠনালীর মধ্যে ধ্বনিবাহী বাতাস বাধা পেয়ে উচ্চারিত ধ্বনিগুলো- কন্ঠনালীয়। কন্ঠনালীয় ধ্বনি হল- হ। কোনো ধ্বনি উচ্চারণকালে যদি কন্ঠনালীর পেশী ও মুখগহ্বর একইসঙ্গে সংকুচিত ও রুদ্ধ হয়, তাহলে তাকে কন্ঠ্যনালীয়ভবন বলে।
4.

'কেষ্ট' - এটি1. তৎসম শব্দ2. ভুয়া শব্দ3. তদ্ভব শব্দ4. অর্ধ-তৎসম শব্দ

Answer» Correct Answer - Option 4 : অর্ধ-তৎসম শব্দ

'কেষ্ট' হ'ল ​অর্ধ-তৎসম শব্দ।

  • শব্দকে উৎপত্তিগত দিক দিয়ে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ ভাগগুলো হলো : তৎসম শব্দ, অর্ধ-তৎসম শব্দ, তদ্ভব শব্দ, দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ
    • তৎসম শব্দ- সংস্কৃত ভাষার যে-সব শব্দ অপরিবর্তিত রূপে সরাসরি বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। উদাহরণঃ- চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য, মস্তক, অন্ন, গৃহ, চরণ, তৃণ, অগ্রহায়ণ,ভাষা ইত্যাদি।
    • অর্ধ-তৎসম শব্দ - যে সব সংস্কৃত শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সেগুলিকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমনঃ কৃষ্ণ > কেষ্ট, জ্যোৎস্না ˂> জ্যোছনা, শ্রাদ্ধ > ছেরাদ্দ, গৃহিণী ˂> গিন্নী ইত্যাদি।
    • তদ্ভব শব্দ- বাংলা ভাষা গঠনের সময় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে যে সব শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছিলো, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ। অবশ্য, তদ্ভব শব্দের মূল অবশ্যই সংস্কৃত ভাষায় থাকতে হবে। যেমন- সংস্কৃত ‘হস্ত’ শব্দটি প্রাকৃততে ‘হত্থ’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর বাংলায় এসে সেটা আরো সহজ হতে গিয়ে হয়ে গেছে ‘হাত’। তেমনি, চর্মকার ˂> চম্মআর ˂> চামার,
    • দেশি শব্দ- বর্তমান বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো সেইসব আদিবাসীদের ভাষার যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় দেশি শব্দ। এই আদিবাসীদের মধ্যে আছে - কোল, মুণ্ডা, ভীম, খোকা, টোপল ইত্যাদি। দেশী শব্দের উদাহরণ কুড়ি (বিশ) - কোলভাষা, পেট (উদর) - তামিল ভাষা, চুলা (উনুন) - মুণ্ডারী ভাষা।
    • বিদেশি শব্দ- বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা অন্য ভাষাভাষীর মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের ভাষা থেকে যে সব শব্দ গ্রহণ করেছে, বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে অন্য ভাষার শব্দ গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। যে কোনো ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- চশমা একটি ফারসি শব্দ।
5.

'শিরে সংক্রান্তি' এই বাগ্ধারাটির অর্থ হল1. সংক্রান্তির আগমন2. বিপদ মুক্ত3. আসন্ন বিপদ4. মাথায় বোঝা

Answer» Correct Answer - Option 3 : আসন্ন বিপদ

শিরে সংক্রান্তি এই বাগধারাটির অর্থ হল আসন্ন বিপদ।

বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব । বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। এই শব্দগুলি ব্যাকরণগত বা আভিধানিক অর্থ মাত্র প্রকাশ করে না, বরং অন্তর্নিহিত ভাব বা অর্থই প্রধান। এ জাতীয় শব্দ সমষ্টিকেই বাগধারা বা বাগ্বিধি বলা হয়ে থাকে। বাগ্ধারায় প্রায়শই বাচ্যর্থ হয় না, লক্ষার্থে বা শব্দার্থই এর অন্তর্গত ভাবকে প্রকাশ করে।
 
 

6.

শহীদ স্মরণার্থ দিবস > শহীদদিবস - এটি কোন্ সমাস ?1. দ্বন্দ্ব সমাস2. তৎপুরুষ সমাস3. কর্মধারয় সমাস4. দ্বিগু সমাস

Answer» Correct Answer - Option 3 : কর্মধারয় সমাস

শহীদ স্মরণার্থ দিবস > শহীদদিবস - এটি কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ।

  • যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। অর্থাৎ এই সমাসে পূর্বপদটি পরপদের বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়।
  • উপরিউক্ত উদাহরণটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ, এক্ষেত্রে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাই তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- শহীদ স্মরণার্থ দিবস > শহীদদিবস, মধ্যপদটি লোপ পেয়ে নতুন পরপদের গঠন হয়েছে।
7.

'আনারস', 'আলপিন', 'আলকাতরা' এই শব্দগুলি উৎসগতভাবে কোন্ ধরনের শব্দ ?1. বিদেশী শব্দ2. দেশী শব্দ3. তদ্ভব শব্দ4. তৎসম শব্দ

Answer» Correct Answer - Option 1 : বিদেশী শব্দ

'আনারস', 'আলপিন', 'আলকাতরা' এই শব্দগুলি উৎসগতভাবে বিদেশী শব্দ।

  • বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা অন্য ভাষাভাষীর মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের ভাষা থেকে যে সব শব্দ গ্রহণ করেছে, বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে অন্য ভাষার শব্দ গৃহীত হয়েছে, সেগুলিকে বলা হয় বিদেশী শব্দ। যে কোনো ভাষার সমৃদ্ধির জন্য বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনারস, আলপিন, আলমারি, আলকাতরা, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি হ'ল পর্তুগিজ শব্দ 
  • যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। উদাহরণ: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
  • অর্থাৎ, যেসব শব্দের মূল পাওয়া গিয়েছে সংস্কৃততে এবং সংস্কৃত থেকে প্রাকৃততে এবং প্রাকৃত থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলে। তদ্ভব শব্দের অপর নাম খাঁটি বাংলা শব্দ। বাংলা ভাষার উদ্ভব মাগধী প্রাকৃত থেকে। সংস্কৃত শব্দগুলি পূর্বভারতে প্রথমে মাগধী প্রাকৃতের রূপ লাভ করে এবং পরে তা বাংলায় রূপান্তরিত হয়। যেমন: চাঁদ<চান্দ চন্দ < চন্দ্র, দই < দহি < দধি, বৌ < বউ < বহু < বধূ, ইত্যাদি।
  • এদেশে আর্যরা আগমনের পূর্বে কোল, মুন্ডা, সাঁওতাল ইত্যাদি অর্নায জাতির বসবাস ছিল। আর্যদের প্রভাবে তারা প্রভাবান্বিত হলেও কিছু শব্দ তারা আর্যদের উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলা ভাষায় শতকরা দুইটি শব্দ এ উৎস থেকে গৃহীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। দেশী শব্দের মধ্যে কিছু অর্নায শব্দ এবং কিছু অজ্ঞাত শব্দও রয়েছে যার মূল জানা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়েনি। বাংলার পূর্ববর্তী প্রাকৃত ভাষায় এগুলো প্রবেশ করে এবং পরে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে। যেমন- ঢেঁকি, ঢোল, কাঁটা, খোঁপা, ডিঙি, কুলা, টোপর, খোকা, খুকি
8.

"বিপদে মোরে রক্ষা করোএ নহে মোর প্রার্থনা ।"নিম্নরেখ বাক্যাংশটি হল1. কর্তৃকারক2. কর্মকারক3. অধিকরণ কারক4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 2 : কর্মকারক

নিম্নরেখ বাক্যাংশটি হল কর্মকারক

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম। যেমন: বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।

উক্ত বাক্যাংশ 'মোরে' অর্থাৎ আমাকে রক্ষার কথা বলেছেন কবি। এই কর্মকারকে রে বিভক্তি যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে।

9.

"বাংলাদেশের দেশী মানুষ ! বিদ্যাসাগর ! বীর !বীরসিংহের সিংহশিশু ! বীর্য্য়ে সুগম্ভীর !"পংক্তি দুটির রচয়িতা হলেন1. অন্নদাশঙ্কর রায়2. যতীন্দ্রমোহন বাগচী3. কাজী নজরুল ইসলাম4. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

Answer» Correct Answer - Option 4 : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

ছন্দের জাদুকর কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর “সাগর তর্পণ” কবিতাতে লিখেছেন বিদ্যাসাগরের প্রয়াণের বিশ বছর পর যেখানে তিনি এই মনীষীর প্রয়াণের অপূরণীয় ক্ষতি বিশ বছরেও পূরণ হয়নি বলেছেন। তিনি লেখেন:-

“বীরসিংহের সিংহশিশু! বিদ‍্যাসাগর!বীর! / উদ্বেলিত দয়ার সাগর,-বীর্যে সুগম্ভীর!''

উনবিংশ শতকের বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শুধু বাংলা ভাষাকে যুক্তিগ্রাহ্য ও সকলের বোধগম্য করে তুলেছিলেন তাই নয়, তিনি ছিলেন বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাঙালি সমাজে প্রগতিশীল সংস্কারের একজন অগ্রদূত। স্ত্রী শিক্ষার সূত্রপাত ও বিস্তারে তাঁর অবদান ব্যাপক, শিক্ষাবিস্তার ছাড়াও বিধবা বিবাহ প্রচলনে ও সামগ্রিকভাবে সমাজে নারীদের অবস্থার উন্নতির জন্য তিনি আমৃত্যু ব্রতী ছিলেন। আজ বাঙালি শিশুদের অক্ষরজ্ঞান হয় তাঁর লেখা বর্ণপরিচয় বইয়ের মাধ্যমেই।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এক জন কবি ও ছান্দসিক। তাঁর কবিতায় ছন্দের কারুকাজ, শব্দ ও ভাষা যথোপযুক্ত ব্যবহারের কৃতিত্বের জন্য তাঁকে ছন্দের জাদুকর নামে আখ্যায়িত করা হয়। 

10.

'বিলয়' শব্দের বিপরীত অর্থ হল1. প্রলয়2. ওলটপালট3. ধ্বংস4. সৃষ্টি

Answer» Correct Answer - Option 4 : সৃষ্টি
বিলয় শব্দের অর্থ হল বিনাশ, ধ্বংস, লোপ, শেষ প্রলয়।
অতএব এই শব্দের বিপরীত অর্থ হল সৃষ্টি, যার অর্থ হল রচনা, নির্মাণ, নূতন কিছুর উৎপাদন।
অন্যান্য বিকল্পগুলি 'বিলয়' এর সমার্থক শব্দ।
11.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"সাগর গর্ভে, নিঃসীম নভে দিগদিগন্ত জু'ড়েজীবনোদ্বেগ,তাড়া ক'রে ফেরে নিতি যারা মৃত্যুরে,মানিক আহরি' আনে যারা খুঁড়ি' পাতাল যক্ষপুরী,নাগিনীর বিষ-জ্বালা সয়ে করে ফণা হ'তে মণি চুরি ।হানিয়া বজ্র-পাণির বজ্র উদ্ধত শিরে ধরি,যাহার চপলা মেঘ-কন্যারে করিয়াছে কিঙ্করী !পবন যাদের ব্যজনী দুলায় হইয়া আজ্ঞাবাহী,-এসেছি তাদের জানাতে প্রণাম, তাহাদের গান গাহি !গুঞ্জরি ফেরে ক্রন্দন মোর তাদের নিখিল ব্য়েপে-ফাঁসির রজ্জু ক্লান্ত আজিকে যাহাদের টুটি চেপে !"1. ইন্দ্রদেব2. বরুণদেব3. পবনদেব4. মরুৎদেব

Answer» Correct Answer - Option 1 : ইন্দ্রদেব

'বজ্র-পাণি > বজ্রপাণি' হলেন ইন্দ্রদেব

বজ্র পাণিতে (হাতে) যাহার, বা বজ্র ধারণ করেন যিনি এই অর্থে 'বজ্রপাণি' বলতে ইন্দ্রদেবকে বোঝানো হয়েছে।

12.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"সাগর গর্ভে, নিঃসীম নভে দিগদিগন্ত জু'ড়েজীবনোদ্বেগ,তাড়া ক'রে ফেরে নিতি যারা মৃত্যুরে,মানিক আহরি' আনে যারা খুঁড়ি' পাতাল যক্ষপুরী,নাগিনীর বিষ-জ্বালা সয়ে করে ফণা হ'তে মণি চুরি ।হানিয়া বজ্র-পাণির বজ্র উদ্ধত শিরে ধরি,যাহার চপলা মেঘ-কন্যারে করিয়াছে কিঙ্করী !পবন যাদের ব্যজনী দুলায় হইয়া আজ্ঞাবাহী,-এসেছি তাদের জানাতে প্রণাম, তাহাদের গান গাহি !গুঞ্জরি ফেরে ক্রন্দন মোর তাদের নিখিল ব্য়েপে-ফাঁসির রজ্জু ক্লান্ত আজিকে যাহাদের টুটি চেপে !""এসেছি তাদের জানাতে প্রণাম, ...!"নিম্নরেখ বাক্যাংশটি হল1. কর্তৃকারক2. কর্মকারক3. অধিকরণকারক4. করণকারক

Answer» Correct Answer - Option 2 : কর্মকারক

"এসেছি তাদের জানাতে প্রণাম, ...!"

নিম্নরেখ বাক্যাংশটি হল কর্মকারক।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।

সংক্ষেপে সনাক্তকরণের জন্য ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্মকারক। উক্ত বাক্যাংশে 'কাদের/কাকে' প্রশ্ন করলে উত্তরে 'তাদের' আসে, অর্থাৎ এটি কর্মকারক।

13.

মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষণের লক্ষ্য হল1. অন্য ভাষার তুলনায় মাতৃভাষাকে শ্রেষ্ঠ বলে বুঝিয়ে দেওয়া2. অন্য ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধার ভাব জাগিয়ে তোলা3. মাতৃভাষার বিকাশ ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করা4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 4 : উপরের কোনটিই নয়
একটি শিশু জন্মর পর প্রথম যে ভাষা শোনে এবং কথা বলা শুরু করে তা হল তার মাতৃ ভাষা। এই ভাষার প্রতি  বিশ্বাস ও আস্থা অপরিসীম। নিজের পরিচয়ের সঙ্গে ওতপ্রভাবে জড়িয়ে থাকে এই ভাষা।  তাই প্রাথমিক স্তরে যখন অন্যান্য বিষয় প্রচলন করা হয় তখন যদি বিদেশি ভাষার কাঠিন্যকে পরিহার করে মাতৃভাষায় তা পড়ান হয় তাহলে হয়ত শিক্ষালাভের পদ্ধতি কিছুটা সহজ ও  আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। একজন মানুষের মধ্যে শিক্ষার বিকাশ শুধুমাত্র শিক্ষা গ্রহণ করলেই হয় না। একজন মানুষের অন্তরে শিক্ষার প্রকৃত বিকাশ ঘটে আত্মার সঙ্গে শিক্ষার মিলনের মাধ্যমে। অন্যদিকে মানুষের ভাব এর মাধ্যম হলো ভাষা। সহজ ভাষায় উচ্চমানের শিক্ষা দানের ফলে মানুষ সহজেই শিক্ষা গ্রহণের দিকে আকৃষ্ট হয়। ফলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আদপে একটি শিক্ষিত সমাজের ভিতই রচনা করে।
14.

"আপনা মাঁসেঁ  হরিণা বৈরি ।"এই পংক্তিটি1. আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন2. মধ্য বাংলা ভাষার নিদর্শন3. আধুনিক বাংলা ভাষার নিদর্শন4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন

"আপনা মাঁসেঁ  হরিণা বৈরি ।" এই পংক্তিটি আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন।

বাংলা ভাষার আদি নিদর্শনের নাম 'চর্যাগীতিকোষ' বা 'চর্যাপদ'। প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ – ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কাল ) যুগে রচিত চর্যাপদের রচনাকাররা সহজান ধর্মমতে দীক্ষিত ছিলেন। চর্যাপদে এ সাধনার কথা যে ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে তা হেঁয়ালিপূর্ণ । ফলে দেশজ ভাষায় রচিত হলেও চর্যাপদের মূল ভাবের মর্মোদ্ঘাটন দুরূহ ব্যাপার। এ কারণে পন্ডিতগণ এ ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা ‘আলো-আঁধারি ভাষা নামে অভিহিত করেন। 

বিশিষ্ট পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন নেপাল-তিব্বতে প্রাপ্ত তালপাতার পুঁথিতে আরো করেকজন নতুন কবির চর্যাগীতি পেয়ে ‘দোহা-কোশ (১৯৫৭)’ গ্রন্থে সংযোজন করেছেন। ফলে এককথায় বলা যায়, চর্যাপদের মোট কবির সংখ্যা ২৩, মতান্তরে ২৪ জন।চর্যাপদের উল্লেখযোগ্য কবিরা হলেন সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্ণপা, কুক্কুরিপা, মিনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা ইত্যাদি।

''আপনা মাংসে হরিণা বৈরী” এই কথাটি আমাদের খুবই পরিচিত। এই অতি পরিচিত উক্তিটিও এসেছে কবি ভুসুকুপার একটি পদ থেকে।কারো কোনো ভালো দিকই যখন তার জন্য খারাপ বা ক্ষতিকর কিছু বয়ে নিয়ে আসে, তখন আমরা এই কথাটি ব্যবহার করে থাকি।

15.

মধ্য বাংলা ভাষার সাধারণ সময়সীমা হল1. দ্বাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী2. পঞ্চদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী3. দশম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী4. চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী

Answer» Correct Answer - Option 4 : চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী

মধ্য বাংলা ভাষার সাধারণ সময়সীমা হল চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী।

​উদ্ভবের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাকে তিনটি ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করে দেখা হয়: প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০-১৩৫০), মধ্যবাংলা (১৩৫০-১৮০০) এবং আধুনিক বাংলা (১৮০০-র পরবর্তী)। 

  • বড়ূ চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বা শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ মধ্য বাংলার একটি সুস্পষ্ট আদি স্তর নির্দেশ করে। কারণ মধ্য বাংলার পরবর্তী রূপের সঙ্গে এই বাংলার দূরত্ব কম নয়। পরবর্তী মধ্য বাংলার নিদর্শন পাওয়া যায় রামায়ণ-মহাভারত-ভাগবতের অনুবাদে, বৈষ্ণব পদাবলি ও চৈতন্যচরিতকাব্যগুলিতে, নানা মঙ্গলকাব্যে, আরাকান-রোসাঙ্গ অমাত্যসভার মানবিক গাথাসাহিত্যে, শাক্ত পদাবলি এবং পূর্ববঙ্গ-গীতিকায়।
  • এ পর্বে ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের বেশ প্রবেশ ঘটেছে। আধুনিক বাংলার ক্ষেত্রে সাহিত্যে গদ্যভাষার ব্যাপক ব্যবহার,  সংস্কৃত (তৎসম) শব্দাবলির ঋণ গ্রহণ এবং ইংরেজি ও অন্যান্য বিদেশী শব্দের ঋণও (পর্তুগিজ, তুর্কি ভাষার) বিশেষ লক্ষণীয়।
16.

বঙ্গালী উপভাষার ভৌগোলিক অবস্থান হল1. হুগলী ও কোচবিহার2. বাঁকুড়া ও দিনাজপুর3. ঢাকা ও ফরিদপুর4. মালদহ ও শ্রীহট্ট

Answer» Correct Answer - Option 3 : ঢাকা ও ফরিদপুর

বঙ্গালী উপভাষার ভৌগোলিক অবস্থান হল ঢাকা ও ফরিদপুর।

ভৌগোলিক সীমা - 

এটি অধুনা বাংলাদেশের প্রধান উপভাষা । ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল বিভাগ, বৃহত্তর কুমিল্লা- নোয়াখালী এবং ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছে এই উপভাষা। ভাষাভাষী সংখ্যা বিবেচনায় এই উপভাষাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত।

বৈশিষ্ট্য়- 

  1. এ >অ্যা (কেন > ক্যান ) , উ >ও (মুলা > মোলা), ও >উ (দোষ >দুষ), র >ড় (ঘর >ঘড়) ধ্বনিতে পরিবর্তন ঘটে।
  2. গুল, গুলাইন দিয়ে বহুবচন পদ গঠিত হয়। যেমন- বাত গুলাইন খাও।
  3. গৌণকর্মে 'রে' বিভক্তি প্রযুক্ত হয়। যেমন- আমারে মারে ক্যান।
  4. অপিনিহিতির বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। যেমন- দেখিয়া  > দেইখ্যা 

 

17.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"সাগর গর্ভে, নিঃসীম নভে দিগদিগন্ত জু'ড়েজীবনোদ্বেগ,তাড়া ক'রে ফেরে নিতি যারা মৃত্যুরে,মানিক আহরি' আনে যারা খুঁড়ি' পাতাল যক্ষপুরী,নাগিনীর বিষ-জ্বালা সয়ে করে ফণা হ'তে মণি চুরি ।হানিয়া বজ্র-পাণির বজ্র উদ্ধত শিরে ধরি,যাহার চপলা মেঘ-কন্যারে করিয়াছে কিঙ্করী !পবন যাদের ব্যজনী দুলায় হইয়া আজ্ঞাবাহী,-এসেছি তাদের জানাতে প্রণাম, তাহাদের গান গাহি !গুঞ্জরি ফেরে ক্রন্দন মোর তাদের নিখিল ব্য়েপে-ফাঁসির রজ্জু ক্লান্ত আজিকে যাহাদের টুটি চেপে !"1. স্বর্গে2. আকাশে3. নরকে4. পাতালে

Answer» Correct Answer - Option 2 : আকাশে
নভ, নভঃ শব্দটি থেকে 'নভে' শব্দটির অবতারণা হয়েছে। এই শব্দের অর্থ হল আকাশ বা গগন।
18.

কবি কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর কাব্যের আত্মপরিচয় অংশে পিতার নাম বলেছেন1. অনাদি2. বিদ্যাধর3. বংশীমালী4. বনমালী

Answer» Correct Answer - Option 4 : বনমালী

কবি কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর কাব্যের আত্মপরিচয় অংশে পিতার নাম বলেছেন বনমালী।

কৃত্তিবাস ওঝা বাংলা ভাষায় সর্ব প্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রামায়ণ রচয়িতা। পূর্ববঙ্গে প্রমাদ দেখা দিলে কবির পূর্বপুরুষ নরসিংহ ওঝা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গঙ্গার তীরবর্তী ফুলিয়া গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন। নরসিংহের পুত্র গর্ভেশ্বর । গর্ভেশ্বরের তিনটি পুত্র হলেন মুরারি, সূর্য এবং গোবিন্দ। মুরারি ওঝার পুত্র বনমালী। বনমালীর স্ত্রীর নাম মালিনী। বনমালী ও মালিনীর ছয় পুত্র ও এক কন্যা। ছয় পুত্রের অন্যতম হলেন কৃত্তিবাস। কবি নিজে তাঁর আত্মপরিচয় দিয়ে লিখেছেন ''মালিনী নামেতে মাতা, পিতা বনমালী/ছয় ভাই উপজিল সংসারে গুনশালি

কৃত্তিবাস রামায়ণ-বহির্ভূত অনেক গল্প 'শ্রীরামপাঁচালী' অনুবাদে গ্রহণ করেছিলেন। তদুপরি বাংলার সামাজিক রীতিনীতি ও লৌকিক জীবনের নানা অনুষঙ্গের প্রবেশ ঘটিয়ে তিনি সংস্কৃত রামায়ণ উপাখ্যানের বঙ্গীকরণ করেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, এই কাব্যে "প্রাচীন বাঙালি সমাজই আপনাকে ব্যক্ত করিয়াছে।"

19.

'আলস্য' শব্দটি-র পদান্তর করলে হবে1. অলসতা2. অলস3. আলস্যতা4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 2 : অলস

'আলস্য' শব্দটি-র পদান্তর করলে হবে 'অলস'।

আলস্য একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ হল অলসতা, কুঁড়েমি; জড়তা।

অন্যদিকে অলস একটি বিশেষণ যার অর্থ হল আলসে, কুঁড়ে, পরিশ্রমে কাতর।

সমধিক প্রচলিত অর্থের ভিত্তিতে একটি শব্দকে বিশেষ‍্য রূপ থেকে বিশেষণ রূপে এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ‍্য রূপে পরিবর্তিত করাকে পদ পরিবর্তন বা পদান্তর বলে।

20.

ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি - বাক্যসংকোচন করলে হবে1. ইন্দ্রিয়পরায়ণ2. জিতেন্দ্রিয়3. ইন্দ্রজিৎ4. ইন্দ্রিয়সর্বস্ব

Answer» Correct Answer - Option 2 : জিতেন্দ্রিয়

ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি - বাক্যসংকোচন করলে হবে জিতেন্দ্রয়। এই শব্দের আভিধানিক অর্থ ইন্দ্রিয়জয়কারী।

  • ইন্দ্রজিৎ এর অর্থ ইন্দ্র (দেবতা)কে জয় করেছেন যিনি
21.

'ধনী' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হল1. ধনহীন2. দীনতা3. নির্ধন4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : নির্ধন

'ধনী' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হল 'নির্ধন'

ধনী একটি বিশেষণ পদ যার অর্থ বিত্তশালী বা ধনবান, এবং এর বিপরীতার্থক শব্দ হল নির্ধন যেটিও একটি বিশেষণ পদ এবং যার অর্থ হল ধনশূন্য, দরিদ্র।
 

22.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"এ দেশ আমার গর্ব,এ মাটি আমার কাছে সোনা ।এখানে মুক্তির লক্ষ্যে হয় মুকুলিতআমার সহস্র সাধ, সহস্র বাসনা ।এখানে আমার পাশে হিমাচল,কন্যাকুমারিকা ।অলঙ্ঘ্য প্রাচীর ঐক্যপ্রতিজ্ঞা পরিখা ।"1. গরব2. গর্বী3. গুরু4. গরিবানা

Answer» Correct Answer - Option 2 : গর্বী

'গর্ব' শব্দটির বিশেষণ পদ হল গর্বী।

'গর্ব' একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ হল অহমিকা, অহংকার। এর বিশেষণ পদটি হল 'গর্বী' বা গর্বিত' যার অর্থ অহংকারী

23.

"চাকার ঘরঘর পড়শির ঘর ঘর।"নিচে দাগ দেওয়া শব্দ দুটি হল1. বিশেষণ পদের দ্বিরুক্তি2. বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি3. সর্বনাম পদের দ্বিরুক্তি4. ক্রিয়াপদের দ্বিরুক্তি

Answer» Correct Answer - Option 2 : বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি

'ঘর ঘর' : শব্দ দুটি হল বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি। এক্ষেত্রে ঘরে ঘরে অর্থাৎ গৃহে গৃহে বোঝাতে এই দ্বিরুক্তি পদ ব্যবহার হয়েছে।  বিশেষ্যপদের দুইবার উচ্চারণ হওয়ায় এটি বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি।

দ্বিরুক্ত শব্দকে ভাঙলে পাওয়া যায় ‘দ্বি+উক্ত’। অর্থাৎ, যা দুইবার বলা হয়েছে বা দুবার উক্ত হয়েছে এমন। বাংলা ভাষায় কোন কোন শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ, একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো দুবার ব্যবহার করলে অন্য সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরণের শব্দের পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়ে কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে। যেমন - আমার জ্বর জ্বর লাগছে

24.

বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়।নিচে দাগ দেওয়া শব্দ দুটি কোন্ কারকের ?1. কর্মকারক2. করণকারক3. কর্তৃকারক4. অধিকরণ কারক

Answer» Correct Answer - Option 3 : কর্তৃকারক

বাঘে-গরুতে শব্দদুটি কর্তৃকারক।

বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা, ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্তৃকারকযেমন:- বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়। (কে জল খায়? বাঘে-গরুতে - কর্তৃকারক)।

25.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"এ দেশ আমার গর্ব,এ মাটি আমার কাছে সোনা ।এখানে মুক্তির লক্ষ্যে হয় মুকুলিতআমার সহস্র সাধ, সহস্র বাসনা ।এখানে আমার পাশে হিমাচল,কন্যাকুমারিকা ।অলঙ্ঘ্য প্রাচীর ঐক্যপ্রতিজ্ঞা পরিখা ।"1. সমষ্টিবাচক সর্বনাম2. সম্বন্ধবাচক সর্বনাম3. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম4. নির্দেশক সর্বনাম

Answer» Correct Answer - Option 3 : ব্যক্তিবাচক সর্বনাম

'আমার' পদটি হল ব্যক্তিবাচক সর্বনাম

ব‍্যক্তিনামের পরিবর্তে যে সর্বনাম ব‍্যবহৃত হয়, তাকে ব‍্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। ব্যক্তিবাচক সর্বনাম পদে কোনো ব্যক্তি বা পুরুষকে নির্দেশ করে। উদাহরণ : আমি, আমরা, আমাকে,আমাদের, তুমি,তোমরা,তোমাকে,তাঁকে,তুই,তোকে, আপনি, আপনাকে,সে, তারা,তিনি,তার ইত্যাদি।

26.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"এ দেশ আমার গর্ব,এ মাটি আমার কাছে সোনা ।এখানে মুক্তির লক্ষ্যে হয় মুকুলিতআমার সহস্র সাধ, সহস্র বাসনা ।এখানে আমার পাশে হিমাচল,কন্যাকুমারিকা ।অলঙ্ঘ্য প্রাচীর ঐক্যপ্রতিজ্ঞা পরিখা ।"1. দশ শত সংখ্যা2. দশ লক্ষ সংখ্যা3. দশ হাজার সংখ্যা4. দশ কোটি সংখ্যা

Answer» Correct Answer - Option 1 : দশ শত সংখ্যা

এখানে ব্যবহৃত সংখ্যাবাচক 'সহস্র' শব্দটির পরিমাণ হল দশ শত সংখ্যা।

সহস্র একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ হল একহাজার বা দশশত।

এক নিযুত এর অর্থ দশ লক্ষ সংখ্যা।

27.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও ।"এ দেশ আমার গর্ব,এ মাটি আমার কাছে সোনা ।এখানে মুক্তির লক্ষ্যে হয় মুকুলিতআমার সহস্র সাধ, সহস্র বাসনা ।এখানে আমার পাশে হিমাচল,কন্যাকুমারিকা ।অলঙ্ঘ্য প্রাচীর ঐক্যপ্রতিজ্ঞা পরিখা ।"1. দূরের বস্তুকে দূরে সরিয়ে দেওয়া2. দূরের বস্তুকে অনতিদূরে রাখা3. নিকটের বস্তুকে দূরে পৌঁছে দেওয়া4. দূর ও নিকটের ব্যবধান না রাখা

Answer» Correct Answer - Option 4 : দূর ও নিকটের ব্যবধান না রাখা

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা এই কবিতায় কবি আসমুদ্র হিমাচলের ভৌগোলিক দূরত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে ভারতবর্ষ তথা মাতৃভূমির প্রতি আত্মীয়তা বোধ জাগ্রত করতে "... আমার পাশে হিমাচল, কন্যাকুমারিকা" পঙক্তিটির অবতারণা করেছেন।  দূর ও নিকটের ব্যবধান না রাখা - এই ঐক্যতার তত্ত্বকেই কবি সুললিত ছন্দে প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ ভৌগোলিক দূরত্বের উর্দ্ধে সমগ্র দেশ সমস্ত ভারতবাসীর প্রত্যেকের এই কথাটিই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সেখানে প্রাদেশিকতা বা দূরত্বের অবকাশ নেই। 

28.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।"পাড়াগেঁয়ে কবি;-প্রভুর আদেশে শহরেতে তার আসা;বহু খুঁজে নিল মোহিনী রোডেতে ছোট্ট, একটি বাসা ।খুঁজে নিল বাসা, যথাসম্ভব মিলায়ে, কাব্য কোড;অনতিদূরেই বকুল বাগান পাশ দিয়ে রসা রোড।বামে কারখানা, কোণে জঙ্গল, ছোট্ট বাসার কাছেবহু ভাষাভাষি খোট্টা পাড়া ও মস্ত বাজার আছে ।"1. নারিকেল গাছ2. আম গাছ3. জাম গাছ4. বকুল গাছ

Answer» Correct Answer - Option 4 : বকুল গাছ

এখানে বকুল গাছের উল্লেখ আছে।

'অনতিদূরেই বকুল বাগান পাশ দিয়ে রসা রোড' - এই বাক্যের মধ্যেই বকুল গাছের বাগানের কথা বলা হয়েছে।

29.

"বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটেমাঝিরে কন, 'বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে ?' ...."এই পংক্তি দুটির রচয়িতা হলেন1. লীলা মজুমদার2. সুকুমার রায়3. কুমুদরঞ্জন মল্লিক4. কালিদাস রায়

Answer» Correct Answer - Option 2 : সুকুমার রায়

উপরিউক্ত পংক্তি দুটির রচয়িতা হলেন সুকুমার রায়।

পংক্তি দুটি 'জীবনের হিসাব' কবিতার অংশ যেখানে পুঁথিগত বিদ্যায় বিদ্বান এক মানুষের জ্ঞানের মিথ্যা অহংকার ও আস্ফালনের মূঢ়তাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

সুকুমার রায় (৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ - ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স ছড়া"র প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তার লেখা কবিতার বই 'আবোল-তাবোল', গল্প 'হ-য-ব-র-ল', গল্প সংকলন 'পাগলা দাশু', এবং নাটক 'চলচ্চিত্তচঞ্চরী' বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা ননসেন্স ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়।

30.

'ক্' থেকে 'ম্' পর্যন্ত পঁচিশটি ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত বলা হয়1. উষ্মধ্বনি2. অন্তঃস্থধ্বনি3. স্পর্শধ্বনি4. পার্শ্বিক ধ্বনি

Answer» Correct Answer - Option 3 : স্পর্শধ্বনি

'ক্' থেকে 'ম্' পর্যন্ত পঁচিশটি ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত বলা হয় স্পর্শধ্বনি

উচ্চারণ অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

স্পর্শ ব্যঞ্জন : ক থেকে ম পর্যন্ত প্রথম ২৫ টি ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস মুখগহ্বরের কোন না কোন জায়গা স্পর্শ করে যায়। এজন্য এই ২৫টি বর্ণকে বলা হয় স্পর্শধ্বনি বা স্পৃষ্টধ্বনি।

স্পর্শ বা উষ্ম ধ্বনির অন্তরে অর্থাৎ মাঝে আছে বলে 'য র ল ব' ইত্যাদি ধ্বনিকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয় আর বর্ণকে বলা হয় অন্তঃস্থ বর্ণ। 

শ, ষ, স, হ- এই চারটি ধ্বনি উচ্চারণের শেষে যতক্ষণ ইচ্ছা শ্বাস ধরে রাখা যায়, বা শিশ্ দেয়ার মতো উচ্চারণ করা যায়। এজন্য এই চারটি ধ্বনিকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি।

’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ উপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে ঠেকিয়ে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের করে দেয়া হয়। দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে।

31.

'মাইক' (মাইক্রোফোন), 'ফোন' (টেলিফোন), 'মিনি' (মিনিমাম) - চলিত ভাষায় ব্যবহৃত এ ধরনের শব্দগুলিকে বলে1. ইতর শব্দ2. খন্ডিত শব্দ3. মুন্ডমাল শব্দ4. সাংকেতিক শব্দ

Answer» Correct Answer - Option 2 : খন্ডিত শব্দ

'মাইক' (মাইক্রোফোন), 'ফোন' (টেলিফোন), 'মিনি' (মিনিমাম) - চলিত ভাষায় ব্যবহৃত এ ধরনের শব্দগুলিকে বলে খন্ডিত শব্দ।

  • খন্ডিত শব্দ: কোন কোন শব্দের অংশ বিশেষ বাদ দিয়ে উচ্চারিত হয়, এদের খন্ডিত শব্দ বলে। যেমন:- ফোন < টেলিফোন, বাইক < বাইসাইকেল।
  • ইতর শব্দ: যে সমস্ত শব্দ মার্জিত লোকেদের কথায় ব্যবহার হয় না, তাদের বলে ইতর শব্দ। যেমন ঃ গুল মারা, গ্যাঁজানো ইত্যাদি।
  • মুণ্ডমাল শব্দ: কোনাে শব্দগুচ্ছ বা বাক্যাংশ - এর প্রতিটি শব্দ তথা পদের প্রথম ধ্বনি বা দল (Syllable)-এর সমাবেশ ঘটিয়ে যখন একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়, তখন সেই শব্দকে বলে মুণ্ডমাল শব্দ বা অ্যাক্রোনিম। যেমন - ল.সা.গু (লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক), গ.সা.গু (গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক)।
32.

'বীতশ্রদ্ধ' শব্দের বিপরীত কথাটি হল1. শ্রদ্ধা হারিয়েছে এমন2. শ্রদ্ধার বিপরীতে এমন3. শ্রদ্ধার প্রতিকূলে এমন4. শ্রদ্ধার সাথে এমন

Answer» Correct Answer - Option 4 : শ্রদ্ধার সাথে এমন

'বীতশ্রদ্ধ' শব্দের বিপরীত কথাটি হল 'শ্রদ্ধার সাথে এমন'।

বীতশ্রদ্ধ একটি বিশেষণ পদ যার অর্থ শ্রদ্ধা ভক্তি দূর হয়েছে এমন। সুতরাং এর বিপরীত কথাটি হবে শ্রদ্ধার সাথে এমন।

33.

'শ্', 'ষ্' এবং 'স্' - এই তিনটি ধ্বনিকে বলা হয়1. তাড়নজাত ধ্বনি2. তরল স্বরধ্বনি3. শিস্ ধ্বনি4. পার্শ্বিক ধ্বনি

Answer» Correct Answer - Option 3 : শিস্ ধ্বনি

'শ্', 'ষ্' এবং 'স্' - এই তিনটি ধ্বনিকে বলা হয় শিস্ ধ্বনি

  • উষ্ম বা শিস ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শাসবায়ু সংকীর্ণ বায়ুপথে আংশিক বাধা পেয়ে শিস জাতীয় ধ্বনি তৈরি করে তাকে উষ্ম বা শিস ধ্বনি বলে। উষ্ম ধ্বনি চারটি — 'শ', 'ষ', 'স', 'হ'। বাতাসের ঘর্ষণের ফলে এই জাতীয় ধ্বনি উচ্চারিত হয় তাদের ঘর্ষণজাত ধ্বনিও বলে।
  • তরল স্বরধ্বনি হল সেই সমস্ত ধ্বনি যা উচ্চারণের সময় বাতাস কোথাও কোনো স্পর্শ না করেই বেরিয়ে আসে। অন্তস্থ ব্‌ এবং অন্তস্থ য়্‌ সন্নিভ ধ্বনি।
  • তাড়নজাত ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার সামনের অংশ উল্টে গিয়ে উপরের পাটি দাঁতের মূলের একটু উপরে বা মূর্ধায় টোকা দেওয়ার মতো একবার ছুঁয়ে যায় তাকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে। ড়, ঢ় ।
  • যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস জিহ্বার পেছনের দুপাশ থেকে বেরিয়ে আসে তাকে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে। বাংলা পার্শ্বিক ধ্বনি মাত্র ১টি (ল)।

 

34.

বাংলা মান্য চলিতভাষা গড়ে উঠেছে যে উপভাষার রূপের উপর ভিত্তি করে, সেটি হল1. বঙ্গালী উপভাষা2. কামরূপী উপভাষা3. বরেন্দ্রী উপভাষা4. রাঢ়ী উপভাষা

Answer» Correct Answer - Option 4 : রাঢ়ী উপভাষা

বাংলা মান্য চলিতভাষা গড়ে উঠেছে যে উপভাষার রূপের উপর ভিত্তি করে, সেটি হল রাঢ়ী উপভাষা

রাঢ়ী উপভাষা বা কেন্দ্রীয় প্রমিত বাংলা হল বাংলা ভাষার একটি উপভাষা । পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের  বাংলাভাষী মানুষদের কথ্য ভাষার মধ্যে এই উপভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই উপভাষার পরিমার্জিত বাংলা রূপকেই বাংলা ভাষার শুদ্ধ লিখন রূপ হিসেবে গণ্য করা হয়।

রাঢ়ী উপভাষার সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য অভিশ্রুতি ও স্বরসংগতি। যেমন-

  • 'বলিয়া'>'বলে', 'করিয়া'>'করে', 'আঁকিয়া'>'এঁকে' ইত্যাদি হল অভিশ্রুতি জনিত পরিবর্তন।
  • দেশি>দিশি, ইংরাজি> ইংরিজি ইত্যাদি স্বরসংগতি জনিত পরিবর্তন।
  • চন্দ্রবিন্দুর উচ্চারণ রাঢ়ী উপভাষার খুবই স্পষ্ট। যেমন- চাঁদ, বাঁশ,কাঁটা ইত্যাদি।
35.

স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাসটির নাম হল1. 'ছিন্নমুকুল'2. 'স্নেহলতা'3. 'দীপনির্বাণ'4. 'কাহাকে'

Answer» Correct Answer - Option 3 : 'দীপনির্বাণ'

স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাসটির নাম হল 'দীপনির্বাণ'।

স্বর্ণকুমারী দেবী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক।  স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাস 'দীপনিৰ্বাণউপন্যাসটি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় যা জাতীয়তাবাদী ভাবে অনুপ্রাণিত এক উপন্যাস ছিল। ১৮৭৯ সালে স্বর্ণকুমারী দেবী প্রথম বাংলা গীতিনাট্য (অপেরা) 'বসন্ত উৎসব'  রচনা করেন।

36.

'কেষ্ট', 'মোচ্ছব' - শব্দ দুটি হল1. তৎসম শব্দ2. তদ্ভব শব্দ3. আগন্তুক শব্দ4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 4 : উপরের কোনটিই নয়

'কেষ্ট' শব্দটি অর্ধতৎসম শব্দ অর্থাৎ যেসব সংস্কৃত শব্দ বাংলায় এসে উচ্চারণগত কারণে কিছুটা পরিবর্তন ও বিকৃতি লাভ করেছে, সেগুলিকে অর্ধতৎসম শব্দ বা ভগ্নতৎসম শব্দ বলা হয়। 'কেষ্ট' শব্দটি সংস্কৃত শব্দ 'কৃষ্ণ' থেকে বিকৃত/পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানরূপ ধারণ করেছে। কৃষ্ণ > কেষ্ট

'মোচ্ছব' - শব্দটিও অর্ধতৎসম শব্দ এবং এটিও সংস্কৃত শব্দ বাংলায় এসে উচ্চারণগত কারণে কিছুটা পরিবর্তন ও বিকৃতি লাভ করেছে। 'মহোৎসব' সংস্কৃত শব্দটি থেকে উচ্চারণ বিকৃতির কারণে 'মোচ্ছব'-এ পরিবর্তিত হয়েছে।

37.

'মাটি' - এর পদান্তর করলে হবে1. মেটে2. মেঠে3. মেটো4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : মেটে

'মাটি' শব্দটি একটি বস্তুবাচক বিশেষ্য পদ, এর পদান্তর করলে 'মেটে' শব্দটি হয় যা বিশেষণ পদ। 

দ্রষ্টব্যঃ বিভক্তিযুক্ত শব বা ধাতুকে পদ বলা হয়।

38.

'পালোয়ান' ছড়াটির রচয়িতা হলেন1. রাজশেখর বসু2. সুনির্মল বসু3. জীবনানন্দ দাশ4. এঁদের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 4 : এঁদের কেউই নন

'পালোয়ান' ছড়াটির রচয়িতা হলেন সুকুমার রায়। 

ছড়াটি 'আবোল তাবোল' শীর্ষক সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ননসেন্স ছড়ার সংকলনের অন্যতম। এটি ১৯২৩ সালে ইউ রায় এন্ড সন্স থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনে মোট ছড়ার সংখ্যা ৫০টি। সুকুমার রায় ছিলেন একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। 

39.

"এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি - নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ।"এই দুটি পংক্তি রয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের1. 'বোধন' কবিতায়2. 'ছাড়পত্র' কবিতায়3. 'দেশলাই কাঠি' কবিতায়4. 'প্রিয়তমাসু' কবিতায়

Answer» Correct Answer - Option 2 : 'ছাড়পত্র' কবিতায়

পংক্তি দুটি রয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'ছাড়পত্র' কবিতায়।

মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত ভট্টাচার্য কবিতা বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থনের অধিকারী।তাঁর কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। গণমানুষের প্রতি গভীর মমতায় প্রকাশ ঘটেছে কবির কবিতায়। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো:'ছাড়পত্র' (১৯৪৭), পূর্বাভাস , মিঠেকড়া, অভিযান, ঘুম নেই, হরতাল, গীতিগুচ্ছ প্রভৃতি।

40.

'কম' ও 'বেশি' - শব্দ দুটি হল1. দেশি শব্দ2. তদ্ভব শব্দ3. ফারসী শব্দ4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : ফারসী শব্দ

'কম' ও 'বেশি' - শব্দ দুটি হল ফারসী শব্দ।

যেসব শব্দ এদেশের বাইরের কোনো ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে বিদেশী শব্দ বলা হয়। ফারসি শব্দসমূহ বাংলায় বিদেশী শব্দতালিকায় পড়লেও বহুল ব্যবহারে তা বাংলা শব্দভান্ডারের অন্তর্গত হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফারসী শব্দ ইরানীয় বা পারস্যদেশ থেকে আগত শব্দ

41.

'আতা' ও 'আচার' শব্দ দুটি হল1. দেশী শব্দ2. বিদেশী শব্দ3. অর্ধতৎসম শব্দ4. তদ্ভব শব্দ

Answer» Correct Answer - Option 2 : বিদেশী শব্দ

'আতা' ও 'আচার' শব্দ দুটি হল বিদেশী শব্দ।

  • যেসব শব্দ এদেশের বাইরের কোনো ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে বিদেশী শব্দ বলা হয়। যেমন – পর্তুগিজ শব্দ 'আতা' ও 'আচার' বাংলা শব্দভান্ডারে এসেছে।
  • যেসব সংস্কৃত শব্দ বাংলায় এসে বাঙালির উচ্চারণে কিছুটা পরিবর্তন ও বিকৃতি লাভ করেছে, সেগুলোকে অর্ধতৎসম বা ভগ্নতৎসম শব্দ বলা হয়। যেমন – কৃষ্ণ > কেষ্ট, নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন।
  • যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি বাংলায় আসেনি, মধ্যবর্তী পর্বে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলা হয়। তৎ = সংস্কৃত, ভব=উৎপন্ন অর্থাৎ তদ্ভব কথাটির অর্থ সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন। যেমন – (সংস্কৃত) ইন্দ্রাগার >( প্রাকৃত) ইন্দাআর > (বাংলা) ইন্দারা।
  •  
    বঙ্গদেশের প্র্রাচীনতম অধিবাসী কোল, ভিল প্রভৃতি অনার্যজাতির ভাষা থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলোকে দেশী শব্দ বলে।যেমনঃ কুলো, কুকুর, খোকা,
     
     
42.

'সাধুভাষা' কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন1. উইলিয়াম কেরি2. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর3. রাজা রামমোহন রায়4. প্যারীচাঁদ  মিত্র

Answer» Correct Answer - Option 3 : রাজা রামমোহন রায়

সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত ভাষা। সাধু ভাষা মূলত ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত। রাজা রামমোহন রায় তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে  প্রথম সাধু ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।

উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের প্রসারকালে সাধু ভাষার দুটি রূপ দেখা গিয়েছিল : বিদ্যাসাগরী ও বঙ্কিমী। প্রথমটিতে খ্যাত ছিলেন বাংলা গদ্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং সেই সঙ্গে অক্ষয়কুমার দত্ত । তাঁদের ভাষা বিশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দবহুল, যাতে অসংস্কৃত শব্দ পরিহারের প্রয়াস দেখা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় রূপের প্রধান পুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষা সংস্কৃত শব্দবহুল হলেও তা অপেক্ষাকৃত সহজ এবং সে ভাষায় অসংস্কৃত শব্দের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল না। রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমী সাধুভাষাতেই তাঁর সৃষ্টি করে গিয়েছেন।

43.

বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যের সপক্ষে ব্যাপক সাহিত্যিক আন্দোলন শুরু করেন1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর2. প্রমথ চৌধুরী3. বিভূতিভূষন বন্দ্যোপাধ্যায়4. ইন্দিরা দেবীচৌধুরী

Answer» Correct Answer - Option 2 : প্রমথ চৌধুরী

বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যের সপক্ষে ব্যাপক সাহিত্যিক আন্দোলন শুরু করেন প্রমথ চৌধুরী

তিনি বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য কারণ তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুনত্ব এনেছিলেন। তাঁর সাহিত্য রচনার সুনিপুণতা, সৃষ্টিশীলতা, গাম্ভীর্য, যুক্তিনিষ্ঠা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। সাহিত্যাঙ্গনে প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’। প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, কলমের মুখ থেকে মানুষের মুখে নয়।’ তিনি রবীন্দ্র যুগে নিজেকে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং প্রশংসিতও হয়েছেন। প্রথম চৌধুরী সেই সময়কার জনপ্রিয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

44.

সাধারণত অপিনিহিতির বহুল ব্যবহার ঘটে1. বঙ্গালী উপভাষায়2. রাঢ়ী উপভাষায় 3. ঝাড়খণ্ডী উপভাষায়4. কামরূপী উপভাষায়

Answer» Correct Answer - Option 1 : বঙ্গালী উপভাষায়

সাধারণত অপিনিহিতির বহুল ব্যবহার ঘটে বঙ্গালী উপভাষায়।

বঙ্গালী উপভাষা অধুনা বাংলাদেশের প্রধান উপভাষা যা মূলত বাংলাদেশের ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর, বরিশাল ও ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়।  

  • অপিনিহিতি-  পরের ‘ই’ কার আগে উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি যদি আগে উচ্চারিত হয় অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাকেই অপিনিহিতি ঙ্গালী উপভাষার প্রধান বৈশিষ্ট হ’লো ক্রিয়াপদে অপিনিহিত উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য বলা হয়। যেমন -  আজি > আইজ, কালি > কাইল, সাধু > সাউধ, আশু > আউস,
  • বঙ্গালী উপভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য হ’লো ক্রিয়াপদে অপিনিহিত উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য। যেমন-  কোইর‌্যা, দেইখ্যা, রোইক্ষ্যা
  • বঙ্গালী উপভাষায় উ আগম অপিনিহিতি রূপে পুরোপুরি ব্যবহৃত। যেমন- যাউকগিয়া, মাউরা, কাউল্যা ইত্যাদি।
45.

"তেলের শিশি ভাঙলো বলে খুকুর'পরে রাগ করো,তোমরা যেসব বুড়ো খোকা ভারতভেঙে ভাগ করো ।"-এই পংক্তি দুটি লিখেছেন1. সুকুমার রায়2. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী3. অন্নদাশঙ্কর রায়4. নজরুল ইসলাম

Answer» Correct Answer - Option 3 : অন্নদাশঙ্কর রায়

উপরিউক্ত এই পংক্তি দুটি লিখেছেন কবি অন্নদাশঙ্কর রায়

অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২)  ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, চিন্তাবিদ। উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ ঐতিহ্যের শেষ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অভিহিত। 

  • ১৯২৭ সালে অন্নদাশঙ্কর রায় আই.সি.এস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ড যান। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে ১৯২৯ সালে অন্নদাশঙ্কর রায় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে অ্যাসিসট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দেন। ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আঠারো বছরের মধ্যে তিনি নয় বছর পশ্চিমবঙ্গে এবং নয় বছর পূর্ববঙ্গে বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন। 
  • তাঁর রচিত উপন্যাসের সংখ্যা ২২টি। এর মধ্যে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস আগুন নিয়ে খেলা (১৯৩০)। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যিক উপন্যাস তাঁর ছয় খন্ডে প্রকাশিত সত্যাসত্য ছয়টি নামে প্রকাশিত হয় যথাক্রমে- যার যেথা দেশ (১৯৩২), অজ্ঞাতবাস (১৯৩৩), কলঙ্কবতী (১৯৩৪), দুঃখমোচন (১৯৩৬), মর্ত্যের স্বর্গ (১৯৪০), অপসরণ (১৯৪২)।  তাঁর বিশ্ববীক্ষা, সভ্যতার বিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা ও মানবতাবাদী চিন্তাভাবনা রবীন্দ্রনাথেরই উত্তরাধিকার। এই ধারাতেই রচিত হয় ক্রান্তদর্শী। চার খন্ডে সম্পূর্ণ এই মহাকাব্যিক উপন্যাস একটি বিশেষ সময়ের ঘটনাপ্রবাহকে ধারণ করে আছে- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু থেকে আগস্ট বিপ্লব, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ব্রিটিশ ও কংগ্রেস-মুসলিম রাজনীতি, দাঙ্গা, দেশভাগ ও ব্রিটিশের প্রস্থান এবং হিন্দু মহারাষ্ট্রবাদীর হাতে মহাত্মা গান্ধীর নিধন।  
  • আধুনিক বাংলা ছড়ায় যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তার সূত্রপাত করেন অন্নদাশঙ্কর। তাঁর বিখ্যাত ছড়ার বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: উড়কি ধানের মুড়কি (১৯৪২), রাঙা ধানের খৈ (১৯৫০), ডালিম গাছে মৌ (১৯৫৮), শালি ধানের চিঁড়ে (১৯৭২), আতা গাছে তোতা (১৯৭৪), হৈ রে বাবুই হৈ (১৯৭৭), ক্ষীর নদীর কূলে (১৯৮০), হট্টমালার দেশে (১৯৮০), ছড়াসমগ্র (১ম সং. ১৯৮১), রাঙা মাথায় চিরুনি (১ম সং. ১৯৮৫), বিন্নি ধানের খই (১৯৮৯), কলকাতা পাঁচালী (১৯৯২), ছড়াসমগ্র (২য় পরিবর্ধিত সং. ১৯৯৩), সাত ভাই চম্পা (১৯৯৪), যাদু এ তো বড় রঙ্গ (১৯৯৪),) খেয়াল খুশির ছড়া (১৯৯৭), দোল দোল দুলুনি (১৯৯৮), (২০০২) ইত্যাদি।
46.

"মহিম-রহিম দুটি ছোটো ছেলে-এক মন এক প্রাণ,-মহিম সে গোঁড়া হিন্দুর ছেলেরহিম মুসলমান ।"উদ্ধৃত অংশটির কবি হলেন1. লীলা মজুমদার2. উপেন্দ্রকিশোর রায়3. সুনির্মল বসু4. এঁদের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 3 : সুনির্মল বসু

উদ্ধৃত অংশটির কবি হলেন কবি সুনির্মল বসু

 সুনির্মল বসু একজন বাঙালি কবি ও শিশুসাহিত্যিক,  প্রধানত সরস শিশু সাহিত্য রচনাকেই সাহিত্যের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর লেখা গ্রন্থতালিকার কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা হল - হাওয়ার দোলা (১৯২৭), ছানাবড়া, বেড়ে মজা, হৈ চৈ, পাততাড়ি, ছন্দের টুংটাং (১৯৩০), কিপটে ঠাকুরদা (১৯৩৩), টুনটুনির গান, বীর শিকারী, ইন্তিবিন্তির আসর (১৯৫০), পাহাড়ে জঙ্গলে ইত্যাদি। এছাড়া ১৯৫৫ সালে আত্মজীবনী "জীবনখাতার খাতার কয়েক পাতা" লিখেছিলেন। উপরিউক্ত কবিতাটি তাঁর লেখা 'মহিম ও রহিম' কবিতার অংশ।

47.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।"পাড়াগেঁয়ে কবি;-প্রভুর আদেশে শহরেতে তার আসা;বহু খুঁজে নিল মোহিনী রোডেতে ছোট্ট, একটি বাসা ।খুঁজে নিল বাসা, যথাসম্ভব মিলায়ে, কাব্য কোড;অনতিদূরেই বকুল বাগান পাশ দিয়ে রসা রোড।বামে কারখানা, কোণে জঙ্গল, ছোট্ট বাসার কাছেবহু ভাষাভাষি খোট্টা পাড়া ও মস্ত বাজার আছে ।"1. কাব্যরীতি বা কবিতার সংকেত2. কাব্যছন্দ3. কাব্য সৌন্দর্য4. কবিতার ভাষা

Answer» Correct Answer - Option 1 : কাব্যরীতি বা কবিতার সংকেত

'কাব্য কোড' কথাটির তাৎপর্য হল কাব্যরীতি বা কবিতার সংকেত

  • বাংলা সাহিত্যে কাব্যরীতি আদি, মধ্য ও আধুনিক বা নব্যযুগের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।
  • বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য/কাবিতা সংকলন চর্যাপদ। এটি বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
  • প্রাচীন যুগের পরে এসেছে মধ্যযুগে। এ যুগের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য, মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, কালিকামঙ্গল ইত্যাদি। আবার এ যুগেই অনুবাদিত সাহিত্যে তথা কাব্যের রচনাও হয়েছে বিস্তর। বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে মুসলিম কবিগণ রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যধারা হচ্ছে প্রেম বা রোমান্সমূলক কাব্য। যেমন ধরা যাক ইউসুফ-জুলেখা, পদ্মাবতী, মধুমালতী, সতীময়না, লায়লী-মজনু ইত্যাদি মধ্যযুগের কাব্যধারার অংশ।
  • এরপর আসে আধুনিক যুগ। যার সময়কাল ১৮০০ শতাব্দী থেকে বর্তমান পর্যন্ত । মধ্য ও আধুনিক যুগের মধ্যে যিনি সেতুবন্ধন তৈরি করেন তিনি হলেন যুগ সন্ধিক্ষণের কবি: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯)। মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) মধ্যযুগীয় পয়ারমাত্রা ভেঙে কবি প্রবেশ করেন মুক্ত ছন্দে। রচনা করেন সনেট। লাভ করেন আধুনিক কবিতার জনকের খ্যাতি। অনন্যধারায় কাব্য রচনা করেন ইউরোপীয় ভাবধারার রোমান্টিক ও গীতি কবি - 'ভোরের পাখি' বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪)। এরপর মহীরুহ বৃক্ষের ন্যায় বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(১৮৬১-১৯৪১)।
  • তবে আধুনিক কবিতার স্বর্ণযুগে এসে যুগসন্ধিক্ষণের প্রচলিতধারার বাইরে এসে প্রথা ভাঙার প্রথার প্রবর্তন করেন পঞ্চপান্ডব কবি: অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-৮৭), জীবননান্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-৭৪), বিষ্ণু দে (১৯০৯-৮২), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-৬০)। বিশ্ব কবিতার আসরের প্রতিটি শাখাকে করেছেন বাংলায় প্রতিষ্ঠিত। এমনভাবেই বিকাশলাভ করেছে বাংলা সাহিত্যের আখ্যানকাব্য, মঙ্গল কাব্য, উপন্যাস, নাটক, সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা, আধুনিক গদ্য কবিতা, অনুকবিতা এমনকি আধুনিকতম শব্দকবিতা।
48.

'ভুবনসোম' উপন্যাসটির লেখক হলেন1. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়2. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়3. রাজশেখর বসু4. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

Answer» Correct Answer - Option 4 : বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

'ভুবনসোম' উপন্যাসটির লেখক হলেন বাংলা সাহিত্যের 'বনফুল' শ্রী বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়।

মুখোপাধ্যায়, বলাইচাঁদ (১৮৯৯-১৯৭৯)  কবি, কথাশিল্পী, নাট্যকার, প্রবন্ধকার। নতুন ধারা ও বিচিত্র ধরণের কাহিনী নির্মাণে তিনি অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি উপন্যাস লিখেছেন ৬১টি, গল্প ৬০০ টি। তাঁর  উপন্যাসের বিষয়- ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, চিকিৎসাবিদ্যা, মনস্তত্ত্ব, প্রেম প্রভৃতি। তাঁর উপন্যাসগুলিতে লক্ষ করা যায় মানব জীবনের নানা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতির প্রকাশ। যথার্থ শিল্পীর বেদনাবোধ তাঁর সৃজনী প্রতিভায় বিদ্যমান। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- তৃণখন্ড (১৯৩৫), জঙ্গম (তিন খন্ড, ১৯৪৩-১৯৪৫), অগ্নি (১৯৪৬), ডানা (তিনখন্ড, যথাক্রমে ১৯৪৮, ১৯৫০ ও ১৯৫৫), স্থাবর (১৯৫১), অগ্নীশ্বর (১৯৫৯), হাটেবাজারে (১৯৬১), ত্রিবর্ণ (১৯৬৩), ভুবনসোম (১৯৬৩), প্রচ্ছন্ন মহিমা (১৯৬৭), উদয় অস্ত (দুই খন্ড, ১৯৫৯ ও ১৯৭৪) প্রভৃতি। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসের গঠনভঙ্গি স্বতন্ত্র এবং অভিনব। তিনি কাহিনী বর্ণনা করেন কখনও নাটকীয় সংলাপে, কখনও স্বগতোক্তিতে, কখনও কবিতায়। তিনি উপন্যাসের গঠনরীতি এবং কথন-কৌশলে যেসব পরীক্ষা করেন, তা বাংলা সাহিত্যে বিরল। তিনি কিছু ইংরেজি উপন্যাস অনুবাদ করেন যা দেশজ পটভূমি ও চরিত্রের বিন্যাসে অলঙ্কৃত। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভুবনসোম

49.

'বকুল কথা' উপন্যাসের রচয়িতা হলেন1. আশাপূর্ণা দেবী2. লীলা মজুমদার3. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 1 : আশাপূর্ণা দেবী

'বকুল কথা' উপন্যাসের রচয়িতা হলেন আশাপূর্ণা দেবী।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জীবন, বিশেষত সাধারণ মহিলাদের জীবনযাপন ও মনস্তত্ত্বের চিত্রই ছিল তাঁর রচনার মূল উপজীব্য। তাঁঁর 'প্রথম প্রতিশ্রুতি'- 'সুবর্ণলতা'-'বকুল কথা' উপন্যাসত্রয়ী বিংশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। দেড় হাজার ছোটোগল্প ও আড়াইশো-র বেশি উপন্যাসের রচয়িতা আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭৬),সাহিত্য অকাদেমি ও দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।

50.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. ভোগ2. বর্জন3. প্রেরণ4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : ভোগ

'ত্যাগ' শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ হল 'ভোগ'।

 'ত্যাগ' শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ হ'ল বর্জন, পরিহার, ছাড়া; অন্যদিকে 'ভোগ' শব্দটির অর্থ হ'ল অনুভব; উপভোগ; সুখভোগ; ইন্দ্রিয়সেবা।