Answer» Correct Answer - Option 3 : অন্নদাশঙ্কর রায়
উপরিউক্ত এই পংক্তি দুটি লিখেছেন কবি অন্নদাশঙ্কর রায়। অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২) ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, চিন্তাবিদ। উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ ঐতিহ্যের শেষ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অভিহিত। - ১৯২৭ সালে অন্নদাশঙ্কর রায় আই.সি.এস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ড যান। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে ১৯২৯ সালে অন্নদাশঙ্কর রায় মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে অ্যাসিসট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দেন। ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আঠারো বছরের মধ্যে তিনি নয় বছর পশ্চিমবঙ্গে এবং নয় বছর পূর্ববঙ্গে বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন।
- তাঁর রচিত উপন্যাসের সংখ্যা ২২টি। এর মধ্যে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস আগুন নিয়ে খেলা (১৯৩০)। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যিক উপন্যাস তাঁর ছয় খন্ডে প্রকাশিত সত্যাসত্য ছয়টি নামে প্রকাশিত হয় যথাক্রমে- যার যেথা দেশ (১৯৩২), অজ্ঞাতবাস (১৯৩৩), কলঙ্কবতী (১৯৩৪), দুঃখমোচন (১৯৩৬), মর্ত্যের স্বর্গ (১৯৪০), অপসরণ (১৯৪২)। তাঁর বিশ্ববীক্ষা, সভ্যতার বিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা ও মানবতাবাদী চিন্তাভাবনা রবীন্দ্রনাথেরই উত্তরাধিকার। এই ধারাতেই রচিত হয় ক্রান্তদর্শী। চার খন্ডে সম্পূর্ণ এই মহাকাব্যিক উপন্যাস একটি বিশেষ সময়ের ঘটনাপ্রবাহকে ধারণ করে আছে- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু থেকে আগস্ট বিপ্লব, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ব্রিটিশ ও কংগ্রেস-মুসলিম রাজনীতি, দাঙ্গা, দেশভাগ ও ব্রিটিশের প্রস্থান এবং হিন্দু মহারাষ্ট্রবাদীর হাতে মহাত্মা গান্ধীর নিধন।
- আধুনিক বাংলা ছড়ায় যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তার সূত্রপাত করেন অন্নদাশঙ্কর। তাঁর বিখ্যাত ছড়ার বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: উড়কি ধানের মুড়কি (১৯৪২), রাঙা ধানের খৈ (১৯৫০), ডালিম গাছে মৌ (১৯৫৮), শালি ধানের চিঁড়ে (১৯৭২), আতা গাছে তোতা (১৯৭৪), হৈ রে বাবুই হৈ (১৯৭৭), ক্ষীর নদীর কূলে (১৯৮০), হট্টমালার দেশে (১৯৮০), ছড়াসমগ্র (১ম সং. ১৯৮১), রাঙা মাথায় চিরুনি (১ম সং. ১৯৮৫), বিন্নি ধানের খই (১৯৮৯), কলকাতা পাঁচালী (১৯৯২), ছড়াসমগ্র (২য় পরিবর্ধিত সং. ১৯৯৩), সাত ভাই চম্পা (১৯৯৪), যাদু এ তো বড় রঙ্গ (১৯৯৪),) খেয়াল খুশির ছড়া (১৯৯৭), দোল দোল দুলুনি (১৯৯৮), (২০০২) ইত্যাদি।
|