1.

স্তম্ভ > থাম - কোন্ ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত ?1. ঘোষীভবন2. অল্পপ্রাণীভবন3. মহাপ্রাণীভবন4. কন্ঠ্যনালীয়ভবন

Answer» Correct Answer - Option 3 : মহাপ্রাণীভবন

স্তম্ভ > থাম - মহাপ্রাণীভবন প্রকারের ধ্বনি পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত।

  • সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় অর্থাৎ উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস জোরে বের হয়, সেগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ, , ধ, ফ, ভ- এগুলি মহাপ্রাণ ধ্বনি।
  • যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ, ট, ড, , দ, প, ব- এগুলি অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
  • সন্নিকটস্থ বা সংযুক্ত কোনো মহাপ্রাণ ধ্বনির প্রভাবে কোনো অল্পপ্রাণ ধ্বনি মহাপ্রাণ উচ্চারিত হয় তবে সেই প্রক্রিয়াকে মহাপ্রাণীভবন বলে ।
  • ঘোষীভবন: কোনো স্বঘোষধ্বনির প্রভাবে অঘোষধ্বনি যদি স্বঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয় তবে তাকে ঘোষীভবন বলে। যেমন- চাকদহ > চাগ্‌দা - এখানে ঘোষধ্বনি ‘দ’-এর প্রভাবে অঘোষধ্বনি ‘ক’ পরিবর্তিত হয়ে ঘোষধ্বনি ‘গ’-এ পরিণত হয়েছে।
  • অল্পপ্রাণীভবন: ধ্বনি যদি অল্পপ্রাণ উচ্চারিত হয় তবে তাকে অল্পপ্রাণীভবন বলে। যেমন- দুধ > দুদ, বাঘ > বাগ, ভাই > বাই, ভাত > বাত ইত্যাদি।
  • কন্ঠ্যনালীয়ভবন: কন্ঠনালীর মধ্যে ধ্বনিবাহী বাতাস বাধা পেয়ে উচ্চারিত ধ্বনিগুলো- কন্ঠনালীয়। কন্ঠনালীয় ধ্বনি হল- হ। কোনো ধ্বনি উচ্চারণকালে যদি কন্ঠনালীর পেশী ও মুখগহ্বর একইসঙ্গে সংকুচিত ও রুদ্ধ হয়, তাহলে তাকে কন্ঠ্যনালীয়ভবন বলে।


Discussion

No Comment Found

Related InterviewSolutions