Explore topic-wise InterviewSolutions in .

This section includes InterviewSolutions, each offering curated multiple-choice questions to sharpen your knowledge and support exam preparation. Choose a topic below to get started.

51.

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'মহেশ' গল্পের মহেশ হল1. কৃষক2. দিনমজুর3. হিংস্র পশু4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 4 : উপরের কোনটিই নয়

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'মহেশ' গল্পের মহেশ হল একটি গরু।

মহেশ বাঙালি ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প ও গল্পটি ভারতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের একটি সাহিত্য-দলিল যেখানে গরীব কৃষক গফুরকে গল্পের শেষে তার চাষ-আবাদ ছেড়ে চটকলের কারখানায় কাজ করতে হয়। সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত অবক্ষয় ও যন্ত্রসভ্যতার হাতছানি- এই দুইই  আছে গল্পটিতে।

52.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. প্রণামীর অর্থে2. স্বেচ্ছাদানে3. সংগৃহীত অর্থে4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 2 : স্বেচ্ছাদানে

স্বদেশী সমাজ' প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা যা রাষ্ট্র-সমাজ গঠনে তাঁর মতামতের প্রকাশ।

উক্ত অংশে প্রাবন্ধিক যথার্থই বলেছেন যে ভারতবর্ষে স্বেচ্ছাদানের মাধ্যমে ধার্মিক স্থান ইত্যাদির প্রতিষ্ঠা তথা পরিচালনা-বাবদ অর্থ আসে। স্বদেশী সমাজ গঠনে সমাজের সর্বস্তরের সমস্ত মানুষের সমান অধিকার ও কর্তব্য থাকবে এবং এই সূত্রেই তিনি বলেছেন যে অতি অল্পপরিমাণেও প্রত্যেকেই স্বদেশের জন্য উৎসগ করবে। স্বেচ্ছাদত্ত দানের মাধ্যমে মঠ মন্দির চললে, সমাজের পক্ষে নিজের আশ্রয়স্থান নিজে গঠন করা সম্ভব ।

53.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. অর্থের অভাব2. অর্থ হতে অভাব3. অর্থে অভাব4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : অর্থের অভাব

'অর্থাভাব' শব্দটির ব্যাসবাক্য হবে 'অর্থের অভাব'।

সমস্যমান পদগুলি দিয়ে যে বাক্য বা বাক্যাংশ তৈরি হয় তাকে ব্যাসবাক্য বলে।

54.

'অবাক জলপান' নাটকের রচয়িতা হলেন1. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়2. সুকুমার রায়3. অন্নদাশঙ্কর রায়4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 2 : সুকুমার রায়

'অবাক জলপান' নাটকের রচয়িতা হলেন সুকুমার রায়।

সুকুমার রায় চৌধুরী (১৮৮৭-১৯২৩) একজন বাঙালি জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স ছড়া"-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক ছিলেন। তাঁর লেখা কবিতার বই 'আবোল তাবোল', গল্প 'হ-য-ব-র-ল', গল্প সংকলন 'পাগলা দাশু', এবং নাটক 'চলচ্চিত্তচঞ্চরী' ইত্যাদি অন্যতম।

55.

কুন্দননন্দিনী ও সূর্যমুখী চরিত্র দুটি রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের1. 'কমলকান্তের দপ্তর' গ্রন্থে2. 'সীতারাম' উপন্যাসে3. 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসে4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসে

কুন্দননন্দিনী সূর্যমুখী চরিত্র দুটি রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসে।

এটি বঙ্কিমচন্দ্রের চতুর্থ বাংলা উপন্যাসএবং তাঁর বিষবৃক্ষ-কৃষ্ণকান্তের উইল-রজনী গার্হস্থ্যধর্মী উপন্যাসত্রয়ীর অন্যতম।১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা (১৮৭২) থেকে চৈত্র সংখ্যা (১৮৭৩) পর্যন্ত 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় মোট বারোটি কিস্তিতে 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল সমসাময়িক বাঙালি হিন্দু সমাজের দুটি প্রধান সমস্যা - বিধবাবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রথা। এই উপন্যাসের পটভূমি বিধবাবিবাহ আইন পাশ হওয়ার সমসাময়িক কাল।এই উপন্যাসের নায়িকা বিধবা কুন্দনন্দিনীর চরিত্রটি বঙ্কিমচন্দ্রের কনিষ্ঠা কন্যার ছায়া অবলম্বনে রচিত হয় বলে জানা যায়।

56.

'রাজর্ষি' উপন্যাসের রচনাকাল হল1. ১৮৮৭ সাল 2. ১৮৯৭ সাল 3. ১৯১৩ সাল 4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : ১৮৮৭ সাল 

'রাজর্ষি' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস যা ১৮৮৭ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি মানবতার পক্ষে ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রচিত এবং এটি রবীন্দ্রনাথের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। উপন্যাসের পটভূমি হল ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। পরবর্তীকালে এই উপন্যাসের প্রথমাংশ অবলম্বনে 'বিসর্জন' নাটকটি রচিত হয়।

57.

'বীরাঙ্গনা কাব্য' হল1. রোমান্টিক কাব্য2. মহাকাব্য3. পত্রকাব্য4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : পত্রকাব্য

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'বীরাঙ্গনা কাব্য' হল পত্রকাব্য

১৮৬১ সালে প্রকাশিত এই কাব্যটি ভারতীয় পুরাণের এগারো জন নারীর স্বামী বা প্রেমাস্পদকে লেখা পত্ৰকাব্য। এই এগারোটি পত্ৰকাব্য গুলি হল – ১) দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা, ২) সোমের প্রতি তারা, ৩) দ্বারকানাথের প্রতি রুক্মিণী, ৪) দশরথের প্রতি কেকয়ী, ৫) লক্ষ্মণের প্রতি শূর্পণখা, ৬) অর্জুনের প্রতি দ্রৌপদী, ৭) দুর্যোধনের প্রতি ভানুমতি, ৮) জয়দ্রথের প্রতি দুঃশলা, ৯) শান্তনুর প্রতি জাহ্নবী, ১০) পুরুরবার প্রতি ঊর্বশী, ১১) নীলধ্বজের প্রতি জনা। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কবি ওভিদের ( পাবলিয়াস ওভিদিয়াস ন্যাসো ) 'Heroides' বা ' Epistiles of heroins ' পত্রকাব্যের অনুসরণে ১১টি পত্র সংকলন গ্রন্থ এই 'বীরাঙ্গনা কাব্যবাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক পত্রকাব্য

58.

'লম্বকর্ণ' গল্পের লেখক হলেন1. রাজশেখর বসু2. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়3. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 1 : রাজশেখর বসু

'লম্বকর্ণ' গল্পের লেখক হলেন - রাজশেখর বসু

রাজশেখর বসু (১৮৮০ - ১৯৬০)ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক, অনুবাদক, রসায়নবিদ ও অভিধান প্রণেতা। তিনি পরশুরাম ছদ্মনামে তাঁর ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক কথাসাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ। গল্পরচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূতবাল্মীকি রামায়ণ (সারানুবাদ)কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকৃত মহাভারত (সারানুবাদ)শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। 'চলন্তিকা' অভিধান প্রণয়নের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার ও ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ সম্মানেভূষিত হন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি লাভ করেছিলেন।

59.

"তোমরা যে সব ধেড়ে খোকাবাঙলা ভেঙে ভাগ করো !তার বেলা ?" - উদ্ধৃত অংশটির কবি হলেন1. নজরুল ইসলাম2. অন্নদাশঙ্কর রায়3. জীবনানন্দ দাশ4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 2 : অন্নদাশঙ্কর রায়

"তোমরা যে সব ধেড়ে খোকা

বাঙলা ভেঙে ভাগ করো !

তার বেলা ?" - উদ্ধৃত অংশটির কবি হলেন অন্নদাশঙ্কর রায়

অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪ - ২০০২) একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি, লেখক  ছড়াকার। তাঁর অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল। উক্ত অংশটি অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা 'খুকু ও খোকা' শীর্ষক জনপ্রিয় কবিতার অংশবিশেষ।

60.

বাংলা গদ্যে বিরতি ও যতিচিহ্নের ব্যবহার করেন1. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত2. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার3. অক্ষয়কুমার দত্ত4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 4 : উপরের কেউই নন

বাংলা গদ্যে বিরতি ও যতিচিহ্নের ব্যবহার করেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

যতিচিহ্নবিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন হল সেইসব সাংকেতিক চিহ্ন যেগুলো লেখ্যমাধ্যমে ব্যবহার করে বাক্যের বিভিন্ন ভাব, যেমন: জিজ্ঞাসা, বিস্ময়, সমাপ্তি ইত্যাদি সার্থকভাবে প্রকাশের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট করা হয়। বাংলা ভাষায় ২০টির মতো যতিচিহ্ন রয়েছে। এদের মধ্যে বাক্যশেষে ব্যবহার্য যতিচিহ্ন ৪টি; বাক্যের ভিতরে ব্যবহার্য ১০টি এবং বাক্যের আগে পরে ব্যবহার্য ৬টি। যেমন- বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতে হয়। 

বাংলায় যতি/ছেদ চিহ্নের প্রবর্তক হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) গ্রন্থ প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহার দেখান।

61.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. প্রত্য + এক2. প্রতি + ইক3. প্রতি + এক4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : প্রতি + এক

'প্রত্যেক' শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে হবে প্রতি + এক।

উক্ত ক্ষেত্রে এই সূত্রটি প্রযোজ্য: ই/ঈ -এর পরে ই/ঈ ছাড়া অন্য কোন স্বরধ্বনি থাকলে ই/ঈ-র জায়গায় য (য-ফলা,্য) হয় এবং তা ই/ঈ-র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির সন্ধি হলে তাকে বলে স্বরসন্ধি এবং প্রত্যেক শব্দটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।

পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে। অর্থাৎ, এখানে দুটি ধ্বনির মিলন হবে, এবং সেই দুটি ধ্বনি পাশাপাশি অবস্থিত হবে। 

62.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. জগতসেরা হয়ে উঠবে2. সুখের হয়ে উঠবে3. সুবৃহৎ হয়ে উঠবে4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 3 : সুবৃহৎ হয়ে উঠবে

আমাদের স্বদেশী সমাজ সুবৃহৎ হয়ে উঠবে বলেই প্রত্যাশা করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক দর্শনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হল ‘স্বদেশী সমাজ’-এর ধারণা, যার ভিতরে প্রোথিত হয়ে আছে আত্মশক্তির চিন্তা। এই আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশকেও সঙ্গে নিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধে উন্নীত ও একত্রিত হয়ে দাঁড়ালে ভারতীয় সমাজ সুদৃঢ় ও সুবিশাল হয়ে উঠবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

63.

মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করলে শিক্ষার্থীর1. চিন্তার সঙ্গে ভাষার সংগতি সাধন ঘটে2. লেখা সহজতর হয়3. মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়ে4. লেখাপড়ায় আনন্দ বাড়ে

Answer» Correct Answer - Option 1 : চিন্তার সঙ্গে ভাষার সংগতি সাধন ঘটে

মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করলে শিক্ষার্থীর চিন্তার সঙ্গে ভাষার সংগতি সাধন ঘটে

  • ভাষার সাহায্যেই মানুষ তার চিন্তা, ধ্যান ধারণা, মনের ভাব প্রকাশ করে। 
  • মাতৃভাষার গুরুত্ব অধ্যয়ন করা হয় এই কারণে যে শিক্ষার্থীরা যখন তাদের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করে, তখন তারা একই সঙ্গে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষার দক্ষতার মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিষয়গুলির প্রতি উৎসাহিত হয়।
  • তাদের চিন্তার সঙ্গে ভাষার সঙ্গতি সাধন ঘটে যা শিক্ষার বিষয়বস্তু উপলব্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
64.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে ।"কুশাসনে ইন্দ্রজিৎ পূজে ইস্টদেবেনিভৃতে; কৌষিক বস্ত্র, কৌষিক উত্তরী,চন্দনের ফোঁটা ভালে, ফুলমালা গলে ।পুড়ে ধূপদানে ধুপ; জ্বলিছে চৌদিকেপূত ঘৃতরসে দীপ; পুষ্প রাশি রাশি_________________________________________ - বসেছে একাকীরথীন্দ্র; নিমগ্ন তপে চন্দ্রচূড় যেন-"1. গোপনে2. প্রকাশ্যে3. নির্ভয়ে4. নিশ্চিন্ত মনে

Answer» Correct Answer - Option 2 : প্রকাশ্যে

'নিভৃতে' শব্দটির অর্থ অপ্রকাশিত, গুপ্ত, অন্তরালে রয়েছে এমন।

সুতরাং, এই শব্দের বিপরীত অর্থ হবে 'প্রকাশ্যে' যার অর্থ হল সকলের সামনে, সর্বসমক্ষে, মুক্তভাবে, অকপটে।

65.

Comprehensionনিম্নলিখিত পদ্যাংশটুকু ভালো করে পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে হবে ।"কুশাসনে ইন্দ্রজিৎ পূজে ইস্টদেবেনিভৃতে; কৌষিক বস্ত্র, কৌষিক উত্তরী,চন্দনের ফোঁটা ভালে, ফুলমালা গলে ।পুড়ে ধূপদানে ধুপ; জ্বলিছে চৌদিকেপূত ঘৃতরসে দীপ; পুষ্প রাশি রাশি_________________________________________ - বসেছে একাকীরথীন্দ্র; নিমগ্ন তপে চন্দ্রচূড় যেন-"1. বিশেষ্য পদ2. অব্যয় পদ3. ক্রিয়া পদ4. বিশেষণ পদ

Answer» Correct Answer - Option 4 : বিশেষণ পদ

'কৌষিক' পদটি হল বিশেষণ পদ যার অর্থ রেশমি। এটি একটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ। 

যে পদ বিশেষ্য বা অন্য পদের দোষ,গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ প্রভৃতি প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে।

66.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটি পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।"এইবার সময় আসিয়াছে, যখন আমাদের সমাজ একটি সুবৃহৎ স্বদেশী সমাজ হইয়া উঠিবে । সময় আসিয়াছে, যখন প্রত্যেকে জানিবে আমি একক নহি - আমি ক্ষুদ্র হইলেও আমাকে কেহ ত্যাগ করিতে পারিবে না, এবং ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পারিব না ।পূর্বেই বলিয়াছি, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যহ অতি অল্প পরিমাণেও কিছু স্বদেশের জন্য উতসর্গ করিবে । তাছাড়া, প্রত্যেক গৃহে বিবাহাদি শুভকর্মে গ্রামভাটি প্রভৃতির ন্যায় এই স্বদেশী সমাজের একটি প্রাপ্য আদায় দুরূহ বলিয়া মনে করি না । ইহা যথাস্থানে সংগৃহীত হইলে অর্থাভাব ঘটিবে না ।  আমাদের দেশে স্বেচ্ছাদত্ত দানে বড়ো বড়ো মঠ-মন্দির চলিতেছে, এ দেশে কি সমাজ ইচ্ছাপূর্বক আপনার আশ্রয়স্থান আপনি রচনা করিবে না । বিশেষত যখন অন্নে, জলে, স্বাস্থ্যে, বিদ্যায় দেশ সৌভাগ্যলাভ করিবে তখন কৃতজ্ঞতা কখনোই নিশ্চেষ্ট থাকিবে না ।"1. কর্তৃকারকে 'কে' বিভক্তি2. কর্মকারকে 'কে' বিভক্তি3. অধিকরণ কারকে 'কে' বিভক্তি4. উপরের কোনটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 2 : কর্মকারকে 'কে' বিভক্তি

'ক্ষুদ্রতমকেও আমি ত্যাগ করিতে পরিব না ।' - রেখাঙ্কিত পদটির কারক ও বিভক্তি হল কর্মকারকে 'কে' বিভক্তি।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই কর্মকারক। বিভক্তি হল ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ যা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে এবং দুটি পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। এ, কে, রে, তে , র ,এর — এগুলি বিভক্তির চিহ্ন । বাংলা ভাষায় যেহেতু কারক অনুযায়ী বিভক্তি নির্দিষ্ট নয়, তাই একই বিভক্তি বিভিন্ন কারকে যুক্ত হতে পারে। 

উক্ত বাক্যে কাকে প্রশ্ন করলে 'ক্ষুদ্রতমকে' উত্তর আসে, অর্থাৎ এটি কর্মকারক, যাতে 'কে' বিভক্তি রয়েছে

67.

'কবিতার কথা' গ্রন্থের লেখক হলেন1. সুকান্ত ভট্টাচার্য2. সুনির্মল বসু3. জীবনানন্দ দাশ4. উপরের কেউই নন

Answer» Correct Answer - Option 3 : জীবনানন্দ দাশ

'কবিতার কথা' গ্রন্থের লেখক হলেন জীবনানন্দ দাশ।

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ 'কবিতার কথা' তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৬২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। 'কবিতার কথা' গ্রন্থের প্রবন্ধাবলী বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ, এতে তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত পনেরোটি প্রবন্ধও সংকলিত হয়েছিল। কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগুলোতে জীবনানন্দের এই বিষয়ক ধ্যান-ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে নিরেট পরিসরে। সমসাময়িককালে ইউরোপীয় ধাঁচে বাংলা কবিতায় যে আধুনিকতার প্রবর্তন হয়, সে সম্পর্কে জীবনানন্দের পর্যবেক্ষণ খুবই লক্ষ্যভেদী ও অভিনব। তাঁর ‘কবিতার কথা’ শিরোনামীয় প্রবন্ধের প্রথম বাক্যাংশ ‘‘সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি’’ বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি প্রবচন।

68.

শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে1. পাঠ্যবই2. দৃশ্যশ্রাব্য-নির্ভর উপাদান3. শিক্ষক4. কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষা লাভের উপযুক্ত সাজসরঞ্জাম

Answer» Correct Answer - Option 3 : শিক্ষক

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষাদানের প্রকৃতির পাশাপাশি শিক্ষকের জ্ঞান, বোধ, মনন ও চিন্তা শিক্ষার্থীর বিকাশে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাঠ্যপুস্তক, কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষা লাভের উপযুক্ত সাজসরঞ্জাম ও বর্তমান শিক্ষাদানের অন্যতম দৃশ্যশ্রাব্য-নির্ভর মাধ্যম নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীর কাছে বিষয়বস্তুকে আরও প্রাঞ্জল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষক ব্যতীত এইসবই গৌণ। সুতরাং, শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে শিক্ষকই হলেন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

 

69.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে, গন্ধ মতিয়া উঠিতেছে এবং মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে। সেইখানে রাজসিংহ এক বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।"1. করণ কারকে শূন্য বিভক্তি2. সম্প্রদান কারকে শূন্য বিভক্তি3. অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি4. উপরের কোনোটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 4 : উপরের কোনোটিই নয়

উপরের কোনোটিই সঠিক উত্তর নয়।

  • কারক শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘যা ক্রিয়া সম্পাদন করে’। বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। কারক ৬ প্রকার- ১. কর্তৃকারক, ২. কর্মকারক, ৩. করণকারক, ৪. সম্প্রদান কারক, ৫. অপাদান কারক, ৬. অধিকরণ কারক
  • বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত করতে হয়। এই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি। মৌলিক বাংলা শব্দ বিভক্তিগুলো হ'ল- শূণ্য বিভক্তি (০), এ, য়, তে, কে, রে, র(এর)। তবে এছাড়াও কিছু কিছু অব্যয় শব্দ কারক সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো হ'ল- দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হতে, থেকে, চেয়ে, ইত্যাদি।
  • যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্মকারক। উপরের বাক্যাংশ 'মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে' এটিতে কি বশীভূত হচ্ছে প্রশ্ন করলে উত্তর আসে 'মন'। অর্থাৎ এটি করণ, সম্প্রদান বা অধিকরণ নয়, কর্মকারক।
  • করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। যে উপাদান বা উপায়ে ক্রিয়া সম্পাদন করা হয়, তাকে করণ কারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কী দিয়ে/ কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।

  • যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেয়া হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। ‘কাকে দান করা হল’ প্রশ্নের উত্তরই হলো সম্প্রদান কারক।

  • ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।

উপরের বাক্যাংশে 'মন' কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি

70.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে, গন্ধ মতিয়া উঠিতেছে এবং মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে। সেইখানে রাজসিংহ এক বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।"1. একবার2. দুবার3. তিনবার4. চারবার

Answer» Correct Answer - Option 3 : তিনবার

উদ্ধৃত গদ্যাংশে 'তথায়' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তিনবার।

"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে...''

71.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে, গন্ধ মতিয়া উঠিতেছে এবং মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে। সেইখানে রাজসিংহ এক বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।"1. বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশনপূর্বক পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন2. বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিলেন এবং পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন3. বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিতে করিতে পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন4. উপরের কোনোটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 2 : বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিলেন এবং পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন

বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন। বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে পরিবর্তিত করলে পাওয়া যাবে - বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিলেন এবং পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।

  • দুই বা ততােধিক স্বাধীন বাক্য যখন যােজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। এবং, ও, আর, অথবা, বা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি যােজক যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (5) ইত্যাদি যতিচিহ্নও যােজকের কাজ করে।
  • যে বাক্যে একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন - পাখিগুলাে নীল আকাশে উড়ছে।

  • যে-সে, যারা-তারা, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা প্রভৃতি সাপেক্ষ সর্বনাম এবং যদি-তবে, যদিও-তবু, যেহেতু-সেহেতু, যত-তত, যেটুকু-সেটুকু, যেমন-তেমন, যখন-তখন প্রভৃতি সাপেক্ষ যােজক দিয়ে যখন অধীন বাক্যগুলাে যুক্ত থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন - যে ছেলেটি এখানে এসেছিল, সে আমার ভাই। 

​উক্ত বাক্যে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করার জন্য দুটি পৃথক সমাপিকা ক্রিয়া আবশ্যক, সেইজন্য সঠিক উত্তরটি হ'ল ''বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিলেন এবং পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন''।

72.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে, গন্ধ মতিয়া উঠিতেছে এবং মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে। সেইখানে রাজসিংহ এক বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।"1. তটিনী ও রব2. যেখানে তটিনী সেখানে রব3. যখন রব তখন তটিনী আছে নিশ্চয়4. তটিনীর রব

Answer» Correct Answer - Option 4 : তটিনীর রব

'তটিনীরব' শব্দটির ব্যাসবাক্য হবে তটিনীর রব

  • ব্যাসবাক্য: সমাসের অর্থ প্রকাশ করার জন্য যে বাক্য বা বাক্যাংশ ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে। যেমন - বিলাত হতে ফেরত = বিলাতফেরত। এখানে 'বিলাত হতে ফেরত' হল ব্যাসবাক্য।
  • সমস্যমান পদ: যে কয়েকটি পদ মিলে সমাস হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে।
  • সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ - পূর্বপদ ও পরপদ বা উত্তরপদের মিলনে যে নতুন পদ সৃষ্টি হয় তাকে বলে সমস্তপদ।
  • বাংলা ভাষায় সমাস মূলত ছয় প্রকার - (১) তৎপুরুষ, (২) কর্মধারয়, (৩) দ্বন্দ্ব,  (৪) দ্বিগু, (৫) বহুব্রীহি, (৬) অব্যয়ীভাব।
  • এইক্ষেত্রে যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় এবং পরপদ বা উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের সম্বন্ধ পদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে সম্বন্ধ তৎপুরুষ বলে। এই বাক্যাংশে তটিনীর রব ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের 'র' বিভক্তি লোপ পেয়েছে। অর্থাৎ এটি সম্বন্ধ তৎপুরুষ
73.

Comprehensionনিম্নলিখিত গদ্যাংশটুকু পড়ে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।"তথায়, উপলঘাতিনী কলনাদিনী তটিনীরব সঙ্গে সুমন্দ-মধুর বায়ু এবং স্বরলহরী বিকীর্ণকারী কুঞ্জবিহঙ্গমগণ ধ্বনি মিশাইতেছে। তথায় স্তবকে স্তবকে বন্য কুসুমসকল প্রস্ফুটিত হইয়া, পার্বতীয় বৃক্ষরাজি আলোকময় করিতেছে। তথায়, রূপ উছলিতেছে, শব্দ তরঙ্গায়িত হইতেছে, গন্ধ মতিয়া উঠিতেছে এবং মন প্রকৃতির বশীভূত হইতেছে। সেইখানে রাজসিংহ এক বৃহৎ প্রস্তরখন্ডের উপর উপবেশন করিয়া পত্র দুইখানি পড়িতে প্রবৃত্ত হইলেন।"1. ঠিক2. ভুল3. ঠিক ও ভুল দুটোই4. উপরের কোনোটিই নয়

Answer» Correct Answer - Option 1 : ঠিক

ভাষারীতি অনুযায়ী গদ্যাংশটির সরল সাধুভাষায় লেখা। এই মন্তব্যটি ঠিক

সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত ভাষা। সাধু ভাষা ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত। রাজা রামমোহন রায়  তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে সাধু শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। সাধু ভাষার সঙ্গে প্রমিত বা চলিত ভাষার মিশ্রণকে দূষণীয় গণ্য করা হয়। লেখার সময় যেকোনো একটি রীতিকে গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নচেৎ একে "গুরুচণ্ডালী" দোষে দুষ্ট আখ্যা দেওয়া হয়। তবে কবিতার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়।

আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সাধারণ গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাংলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে,এছাড়াও তিনি এ ভাষাকে সমগ্র বঙ্গদেশের সম্পত্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। 

সাধু ভাষার বাক্যরীতি অনেকটা সুনির্ধারিত। এ ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ অধিক। এতে সর্বনাম, ক্রিয়াপদ প্রভৃতির রূপ মৌখিক ভাষার রূপ অপেক্ষা পূর্ণতর। চলিত ভাষা সর্বদাই নতুন নতুন ধ্বনি-পরিবর্তন করে। কিন্তু সাধু ভাষায় শব্দের রূপান্তর তেমন দেখা যায় না। যেমন, চলিত ভাষায় স্বরসঙ্গতি ও অভিশ্রুতির প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়, কিন্তু সাধু ভাষায় এই জাতীয় ধ্বনিপরিবর্তন দেখা যায় না।

74.

রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার ইতিহাসের কাহিনী নিয়ে কোন্ ছোটগল্প লিখেছিলেন ?1. 'মুকুট'2. 'দেনা-পাওনা'3. 'সম্পত্তি সমর্পণ'4. 'রবিবার'

Answer» Correct Answer - Option 1 : 'মুকুট'

রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার ইতিহাসের কাহিনী নিয়ে 'মুকুট' ছোটগল্পটি লিখেছিলেন।

জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত' বালক' পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ‌্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ‌্যায় প্রকাশিত হয় একটি গল্প 'মুকুট'ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের জন‌্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক‌্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা। ‘মুকুট’ শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে  ‘মুকুট’ গল্পটির মূল‌্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে 'মুকুট' জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট‌্যরূপ দেন।